তাঁদের কাছে বয়সটা শুধু সংখ্যামাত্র। এই সংখ্যাটাই তাঁদেরকে প্রাক্তন করেছে। কিন্তু তাঁরা ‘চিরনবীন’। আবার বিশ্বায়নের দুনিয়ায় পা রেখেও, তাঁদের অভিজ্ঞতার জুড়ি মেলা ভার। গল্পে, গানে, আড্ডায় তাঁদের সঙ্গ ছাড়া সবকিছুই যেন অপূরণীয় তা জোর দিয়ে বলাই যায়।
‘বিশ্ব প্রবীণ দিবস’ (World Geriatric Day)। এই দিনটি শুধু তাঁদের মনে রাখার জন্য, যাঁরা সমাজ, পরিবারকে অনেক কিছু দিয়েছি। এবার এই দিনটিতে তাঁদেরকে বিশেষ ভাবে মনে রাখার জন্য ‘বিশ্ব প্রবীণ দিবস’ পালন করল পি সি চন্দ্র গ্রূপ। প্রতি বছরের মতো এ বছরও পি সি চন্দ্র গার্ডেনে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের দেওয়া হল সংবর্ধনা। এদিনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাঁদেরকে গোলাপ-রজনীগন্ধার ফুল মালার সঙ্গে চন্দন পরিয়ে স্বাগত জানানো হয়। পাশাপাশি তাঁদের মনোরঞ্জনের জন্য আয়োজন করা হয় সঙ্গীত অনুষ্ঠানের। এই বয়সে এসে তাঁরা ‘চিরনবীন’ কথাটি সত্য করতে মনোময় ভট্টাচার্যের গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কোমরটাও দুলিয়ে নেন।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ১৫০ জনের বেশি বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। তাঁদেরকে নিয়ে এরকম একটি ভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় তাঁরা ভীষণ খুশি। এই অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে ৮২ বছরের এক প্রবীণ বলেন, এরকম একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় আমরা খুব খুশি হয়েছি। আজকাল আমাদের কথা নিজেদের সন্তানরাই মনে রাখে না। সেখানে এটি একটি অনন্য নজির। ৭৫ বছরের আরেক প্রবীণ বলেন, এতদিন ভ্যালেন্টাইন ডে, রোজ ডে সাড়ম্বরে পালন করা হয়েছে। এবার আমাদের নিয়েও প্রবীণ ডে পালন করায় আমরা খুব খুশি।
ভাস্কর মান্না