মঙ্গলবারই ইভিএম নিয়ে তাঁদের উদ্বেগের কথা জানাতে নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছে কংগ্রেস সহ ২১ টি বিরোধী দল। তার আগেই সুপ্রিম কোর্ট বলল, শতকরা ১০০ ভাগ ক্ষেত্রে ভিভিপ্যাটের মাধ্যমে গণনা সম্ভব নয়। চেন্নাইয়ের এক সংস্থা শীর্ষ আদালতে আর্জি জানিয়েছিল, ইভিএমে যে গণনা হবে, তা ভিভিপ্যাটের সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়া হোক। বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বে গঠিত অবসরকালীন বেঞ্চ এই আর্জিকে ননসেন্স বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
চেন্নাইয়ের ওই সংগঠন আরও আর্জি জানিয়েছিল, আগামী দিনের ভোটে বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্রের বদলে অপটিক্যাল ব্যালট স্ক্যান মেশিন চালু করা হোক। ওই মেশিনে ভোটার কাগজের ব্যালটে নিজের হাতে ভোট দেন। তা পরে ইলেকট্রনিক ট্যাবুলেশনের জন্য স্ক্যান করা হয়।
কয়েক সপ্তাহ আগে ২১ টি বিরোধী দল সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায়, প্রতিটি বিধানসভা অঞ্চলে অন্তত ২৫ শতাংশ ক্ষেত্রে ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাটের ফল মিলিয়ে দেখা হোক। সুপ্রিম কোর্ট সেই দাবি নাকচ করে দেয়। ওই আবেদনের ওপরে শুনানি হয় ৮ এপ্রিল। নির্বাচন কমিশন যুক্তি দেখায়, প্রতিটি বিধানসভা অঞ্চলে যদি ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে ভিভিপ্যাটের সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে হয়, তাহলে ভোটের ফল বেরোতে সময় লাগবে পাঁচদিন।
সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয়, প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় একটি থেকে পাঁচটি বুথে ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাটের স্লিপ মিলিয়ে দেখা হোক। তাতে কেবল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নয়, সামগ্রিকভাবে ভোটাররা খুশি হবেন। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট বলে, প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করেছে।
বিচারপতি মিশ্র বলেন, প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ এসম্পর্কে ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আপনারা অবসরকালীন বেঞ্চের সামনে ফের বিষয়টি তোলার মানে কী? আমরা যদি ফের এই নিয়ে বিচার করি, গণতন্ত্রের ক্ষতি হবে। এই আবেদন ননসেন্স।
এর মধ্যে বিহার ও উত্তরপ্রদেশের নানা অঞ্চল থেকে অভিযোগ উঠেছে, স্ট্রংরুম খুলে ইভিএম পাচারের চেষ্টা হচ্ছে। বিরোধী দলগুলির দাবি, কয়েকটি ক্ষেত্রে ইভিএম ভর্তি গাড়িও আটক করা হয়েছে। এই সংক্রান্ত ভিডিও ক্লিপও পোস্ট করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দাবি, যে ইভিএমগুলি গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তাতে ভোট নেওয়া হয়নি। ভোটের সময় প্রশাসনের কাছে বাড়তি ভোটযন্ত্র থাকে। সেগুলিই নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।