‘জয় শ্রীরাম’ নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন৷ নাম না করে বিঁধেছেন বিজেপিকে৷ পালটা গেরুয়া শিবিররের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে৷ সেই তালিকায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়৷ নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের বয়সকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর দাবি, বয়সজনিত কারণেই জয় শ্রীরামের মানে বুঝতে পারছেন না উনি৷
ফেসবুক, ট্যুইটারে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অর্মত্য সেনকে নিশানা করে লিখেছেন, ‘তাঁর বয়স কথা বলছে, মস্তিষ্ক বা অন্য কিছু নয়৷ সেই কারণেই জয় শ্রীরামের মানে বুঝতে পারেননি উনি৷’ মন্ত্রীর দাবি, ‘বাংলায় জয় শ্রীরাম প্রতীকী প্রতিবাদের ধ্বনি, এর সঙ্গে ধর্মের যোগ নেই৷’ বাবুলের সংযোজন, ‘জয় শ্রীরাম ধ্বনি অবশ্যই মানুষকে প্রহারের জন্য ব্যবহার অনুচিত৷ বরং এই ধ্বনি ব্যবহার হচ্ছে অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর লড়াই হিসাবে৷’ পরে হ্যাসট্যাগ ব্যবহার করে বাবুল সুপ্রিয় লিখেছেন ‘TMchh’৷
বাংলার রাজনীতিতে শাসক বিরোধী টোন টিপ্পনীর কেন্দ্রে আপাতত ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি৷ তৃণমূলের বিরুদ্ধে পোক্ত লড়াই ও ভোট মেরুকরণের লক্ষ্যে বিজেপির স্লোগান এখন ‘জয় শ্রীরাম’৷ প্রতিবাদে মুখন রাজ্যের শাসক দল৷ গরুয়া শিবিরেই এই স্লোগানকে ‘বিভেদে’র স্বার্থে বলে দাবি তাদের৷
এই প্রেক্ষাপটেই শুক্রবার নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের মন্তব্য বিতর্কে ঘি ঢেলেছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতীচী ট্রাস্টের এক অনুষ্ঠানে অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বলেছিলেন, ‘জয় শ্রীরাম স্লোগান বাংলার সংস্কৃতি নয়। লোককে প্রহার করতে এ সব বলা হচ্ছে।’
বাবুলের আগে বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি ও মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষও অমর্ত্য সেনের মন্তব্যের বিরোধীতা করেছিলেন৷ দিল্লিতে তিনি বলেন, ‘‘অমর্ত্য সেন হয়ত বাংলাকে চেনেন না। উনি কি বাংলা বা ভারতীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে জানেন? প্রত্যেক গ্রামে জয় শ্রীরাম ধ্বনি উঠছে। গোটা বাংলা এই স্লোগান দিচ্ছে।’’