সম্পূর্ণ লকডাউনের পথে দেশ? কি জানালেন অর্থমন্ত্রী

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে গোটা দেশে। লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যে দিল্লিতে সম্পূর্ণ কারফিউ জারি হয়েছে। এরমধ্যে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন যে দেশজুড়ে লকডাউন করার কোনো পরিকল্পনা নেই। তার পরিবর্তে কেন্দ্র ছোট ছোট কন্টেইনমেন্ট জোন করার উপর জোর দিয়েছে। গত ১২ দিনে ১৬.৭ শতাংশ হারে নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছে ২লক্ষ ৭৩ হাজার।

লকডাউন পরিস্থিতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান মাইক্রো অ্যান্ড স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজসের সভাপতি অনিমেশ সাক্সেনার আলোচনা হয়েছে। অনিমেশ সাক্সেনা জনিয়েছেন,অর্থমন্ত্রী সবরকম পরিস্থিতির জন্য তাঁদের প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। আরও একবার দেশজুড়ে করোনার বাড়াবাড়ি দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সাহ প্রতিটি রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে লাগাতার যোগাযোগ রেখে চলেছেন। প্রতিটি রাজ্যে করোনা পরিস্থতির উপর নজর রাখছে কেন্দ্র। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিটি রাজ্যকে সবরকম সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত কেন্দ্র। অক্সিজেন সরবরাহ, ওষুধ ও ভ্যাকসিনের জোগান নিয়েও কেন্দ্র সবরকম সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে।

করোনার রাশ টানতে গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, করোনা আক্রান্ত রোগীদের আইসোলেশন, কোয়ারেন্টাইনে থাকার উপর জোর দিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, নীতি আয়োগের ভাইস চেরাম্যান রাজীব কুমার জানিয়েছেন, করোনার দ্বিতীয় স্রোতের মাঝে দেশকে প্রস্তুত থাকতে হবে ‘বড়সড় অনিশ্চয়তার’ জন্যে। এই অনিশ্চয়তা যেমন গ্রাহকদের দিক থেকে অর্থনীতিতে আসতে পারে, তেমনই বিনিয়োগকারীদের তরফেও আসতে পারে।সেই প্রেক্ষাপটে নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যানের দাবি, আগামী আর্থিক বছরের নিরিখে এমন অবস্থায় নিশ্চিয়ই সরকার কোনও সঠিক আর্থিক রণনীতি নেবে।করোনার প্রথম স্রোতের থেকেও ভয়ঙ্কর বলে মেনে নিয়েছেন রাজীব কুমার। তাঁর আশা ২০২২ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে বর্তমান ত্রৈমাসিক অর্থিকবর্ষে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি হবে ১১ শতাংশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.