২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। এরপরই বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) উপর আস্থা রেখে তাঁকে কোচবিহার কেন্দ্রের টিকিট দেয়। শীর্ষ নেতৃত্বের ভরসাকে হতাশাই বদলাতে দেয়নি নিশীথ। উনিশের লোকসভা কেন্দ্রের কোচবিহারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বড় জয় হাসিল করে নিয়েছিলেন নিশীথ। তখন থেকেই এই যুব নেতার উপর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ভরসা আরও বেড়ে যায়।
একুশের লোকসভা নির্বাচনে পালাবদলের স্বপ্ন দেখে নিশীথবাবুকে বিধানসভা নির্বাচনেও দাঁড় করায় বিজেপি। সেখানে খুব বেশি ভোটে না হলেও, জয়ী হয়েছিল নিশীথই। তবে বাংলায় ক্ষমতায় না আসার কারণে নিশীথ প্রামাণিক কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ অনুযায়ী বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সাংসদ পদ ধরে রাখেন।
সাংসদ হওয়ার দীর্ঘ দুই বছর পর বুধবার নিশীথের জীবনে সবথেকে বড় দিন ছিল। কারণ গতকাল নিশীথ প্রামাণিকের উপর ভরসা করে তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বানায় মোদী সরকার। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব পান নিশীথ প্রামাণিক। এখন থেকে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ডেপুটি। পাশাপাশি ক্রীড়া মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী বানানো হয়েছে নিশীথ প্রামাণিককে।
বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর নিশীথ প্রামাণিক স্পষ্ট করে দেন যে, চীনের চোখ রাঙানি কোনোভাবেই বরদাস্ত করবেন না। আর সেই কারণে শিলিগুড়ি লাগোয়া ‘চিকেন নেক”-এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ উদ্যোগ নিতে চান কোচবিহারের সাংসদ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে এটাই ওনার প্রথম কাজ হবে।
নিশীথ প্রামাণিকের ঘনিষ্ঠ মহলের মতে, শিলিগুড়ি লাগোয়া চিকেন নেকের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে যা যা করণীয়, তাই করবেন কোচবিহারের সাংসদ। এছাড়াও উত্তরবঙ্গে অবৈধ অনুপ্রবেশ রুখতেও পদক্ষেপ নেবেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মহল জানায়, দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চনার শিকার উত্তরবঙ্গ। তবে এবার তা আর হবে না। তাঁরা এও জানান যে, শুধু উত্তরবঙ্গই না, গোটা রাজ্য এবং গোটা ভারতের জন্য ওনার তরফ থেকে যা যা করণীয়, তিনি সেটাই করবেন।