আজ পঞ্চম দফায় রাজ্যের ৬ জেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে মোট ৪৫টি আসনে ভোটগ্রহণ আজ। এর মধ্যে রয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার ১৬টি, নদিয়ার ৮টি, পূর্ব বর্ধমানের ৮টি আসন। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের ১৩টি আসনেও আজ ভোট, যার মধ্যে রয়েছে দার্জিলিংয়ের ৫টি, কালিম্পংয়ের ১টি ও জলপাইগুড়ির ৭টি আসন।
চতুর্থ দফায় কোচবিহারের শীতলকুচিতে অশান্তির পরে পঞ্চম দফায় নিরাপত্তা আরও জোরদার করেছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের মোট ১৫ হাজার ৭৮৯ বুথের জন্য জন্য কেন্দ্রীয় আধাসেনার মোট ৮৫৩ কোম্পানি বাহিনী এবং ১৫,৭৯০ জন রাজ্য পুলিশের কর্মী মোতায়েন থাকছে।
এই দফায় অনেকগুলো নজরকাড়া কেন্দ্র রয়েছে। হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু, গৌতম রায়, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, তাপস রায়। প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রের ভোট রয়েছে কামারহাটি কেন্দ্র থেকে। তারকা প্রার্থীদের মধ্যে তৃণমূলের চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, অদিতি মুন্সি এবং বিজেপির প্রার্থী পার্নো মিত্র।
এক নজরে কোন কোন জেলায় ভোট—
উত্তর ২৪ পরগনা: মিনাখাঁ , সন্দেশখালি , বসিরহাট দক্ষিণ, দেগঙ্গা, হাড়োয়া, হিঙ্গলগঞ্জ ,পানিহাটি, কামারহাটি, রাজারহাট নিউটাউন, বিধাননগর, দমদম, রাজারহাট গোপালপুর, মধ্যমগ্রাম, বারাসত।
পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমান দক্ষিণ, জামালপুর, মন্তেশ্বর, রায়না, কালনা, মেমারি, বর্ধমান উত্তর, খণ্ডঘোষ।
নদিয়া: রানাঘাট উত্তর-পূর্ব, রানাঘাট দক্ষিণ, রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম, চাকদহ, হরিণঘাটা, শান্তিপুর, কল্যাণী, কৃষ্ণগঞ্জ।
জলপাইগুড়ি: নাগরাকাটা, ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ি , জলপাইগুড়ি , রাজগঞ্জ , ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি, মাল।
দার্জিলিং: শিলিগুড়ি, দার্জিলিং, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি, ফাঁসিদেওয়া, কার্শিয়াং।
কালিম্পং: কালিম্পং
সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। এর মধ্যে রাজ্যজুড়ে কিছু বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর সামনে এসেছে—
নদিয়ার কল্যাণীতে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ। তৃণমূলের বাইক বাহিনী হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপি কর্মীদের। কয়েকজন জখম। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী।
বর্ধমান উত্তরে এক বিজেপি কর্মীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। জখম কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আরও তিন জন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল।
হাড়োয়া বিধানসভার প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার হাই স্কুলের ৮৭ ও ৮৭-এ বুথে বিজেপির এজেন্ট দের মারধর করার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি কর্মীরা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের বুথ এজেন্টদের মেরে আইডি কার্ড ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। দু’জন বুথ এজেন্ট দীপঙ্কর ঘোষ ও হাফিজুলকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ।