কলকাতার তিনটি এলাকার কিছু কিছু অংশকে নতুন করে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড, টালিগঞ্জ এবং গড়িয়ার নির্দিষ্ট কিছু অংশকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে?
কেন?
জানা যাচ্ছে এই এলাকাগুলিতে ঘরে ঘরে কোভিডের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। যে কারণে কন্টেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করে বেশ কিছু বিধি আরোপ করা হয়েছে। রবিবারই পুরসভার পক্ষ থেকে এলাকাগুলি স্যানিটাইজেশনের কাজ হয়েছে।
এমনিতেই রাজ্যের সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। রোজই মহানগরে কমবেশি ৮০০- জন কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন। মৃত্যুও হচ্ছে কলকাতায় বেশি। যদিও সবাই যে কলকাতার বাসিন্দা তা নন। অনেকেই জেলা থেকে এসে শহরের হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
আনলক পর্ব শুরু হওয়ার পর থেকে কন্টেইনমেন্ট জোনের বিধি কোথাও তেমন কার্যকর হচ্ছে না। কিন্তু এই এলাকাগুলিতে যে হারে মানুষ সংক্রামিত হচ্ছেন তাতে অনেকেই মনে করছেন এ ছাড়া প্রশাসনের কাছে আর বিকল্প কিছু নেই। আপাতত প্রশাসনের তরফে প্রচার করে জনসাধারণকে কন্টেইনমেন্ট জোনের বিধি মানার বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে।
এমনিতেই উত্সবের মরশুমের পর দেশের বিভিন্ন শহরে কোভিড সংক্রমণ বাড়ছে। দিল্লির পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। বন্ধ করতে হয়েছে বাজার। গুজরাতের আমদাবাদ, সুরাত, ভদোদরায় নাইট কার্ফু শুরু হয়েছে। কলকাতায় তেমন না হলেও নতুন করে কন্টেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করতে হল প্রশাসনকে।
আজ জানা গিয়েছে, দেশে করোনায় দৈনিক মৃত্যু ও সংক্রমণ বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা। দৈনিক মৃত্যুতে দেশে আজও তৃতীয় স্থানে বাংলা। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫২ জনের। তালিকার শীর্ষে রয়েছে দিল্লি। রাজধানীতে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৮৯ জনের। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।