বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর গত দেড় বছরে সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা যায়নি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। শোভনবাবু এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বারবার সংঘাত বেঁধেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের। একুশের ভোট যখন দোরগোড়ায় তখন সেই শোভনকে সাংগঠনিক গুরুত্ব দিল বিজেপি। দায়িত্ব পেলেন বৈশাখীও।
দলের কলকাতা জোনের পর্যবেক্ষক করা হল বেহালা পূর্বের বিধায়ককে। বৈশাখীকে করা হয়েছে সহ আহ্বায়ক। আহ্বায়ক হয়েছেন যুব মোর্চার প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দেবজিত্ সরকার। বৈশাখীর সঙ্গেই সহ পর্যবেক্ষক করা হয়েছে শঙ্কুদেব পণ্ডাকে।
সাংঠনিক ভাবে কলকাতা জোন অনেক বড় এলাকা। মোট ৪৯টি বিধানসভা রয়েছে এই জোনে। কলকাতার ১১টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩১টি এবং দমদম লোকসভার অন্তর্গত ৭টি বিধানসভা পড়ে এই জোনে।
শোভনবাবু তৃণমূলে থাকার সময়েও কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার সংগঠন দেখতেন। ফলে একুশের ভোটের আগে তাঁকে বড় দায়িত্ব দিল বিজেপি।
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটে বিজেপি ভাল ফলকরলেও কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভাল করতে পারেনি গেরুয়া শিবির। যে জোনের দায়িত্ব শোভনবাবুকে দেওয়া হয়েছে সেখানে কোনও আসন বিজেপি জেতেনি। মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, জয়নগর, যাদবপুর, দমদম, উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতা- সবই জিতেছে তৃণমূল। ফলে একুশের ভোটে শোভন সক্রিয় হয়ে কোন কোন জায়গায় পদ্ম ফোটাতে পারেন সেটাই দেখার।