সামনেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে কলকাতার একাধিক মেট্রো প্রকল্প নিয়ে সময় বেঁধে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কলকাতা ও তার আশপাশে যেসব মেট্রো প্রকল্প চলছে সেগুলি নিজে খতিয়ে দেখে এই নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সূত্রের খবর, ২০২২ সালের মার্চ মাসের মধ্যে নোয়াপাড়া থেকে কলকাতা বিমানবন্দর পর্যন্ত যে মেট্রো প্রকল্প চলছে তার কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০২৫ সালের মধ্যে বিমানবন্দর থেকে নিউ ব্যারাকপুর পর্যন্ত মেট্রো লাইনের কাজ শেষ করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এছাড়া নিউ ব্যারাকপুর থেকে বারাসত পর্যন্ত মেট্রো প্রকল্পের জন্য জমি জট মেটানোর কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জমি জট মেটানোর পরেই সেখানে মেট্রোর লাইন পাতার কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।
এই মুহূর্তে নোয়াপাড়া থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রো রেলের প্রথম প্রথম দফার কাজ চলছে। লকডাউনের মধ্যেও সেই কাজের গতি থামায়নি মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সেই অগ্রগতি খতিয়ে দেখেই ২০২২ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে সেই কাজ করার জন্য রেলমন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী।
প্রথম দফার কাজের পরে বিমানবন্দর থেকে নিউ ব্যারাকপুর পর্যন্ত দ্বিতীয় দফার কাজ নিয়ে বেশ কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছিল। তবে দেড় বছর আগেই সেই জটিলতা মিটেছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের জমির নীচ দিয়েই সেই লাইন পাতা হবে বলে ঠিক হয়েছে। তাই দ্বিতীয় দফার সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সেই কাজ শেষ করার জন্য রেলমন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
কিন্তু নিউ ব্যারাকপুর থেকে বারাসত পর্যন্ত মেট্রো সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা জমি অধিগ্রহণ। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন রেলমন্ত্রক রাজ্য সরকারের সঙ্গে এই সমস্যা মেটানোর বিষয়ে কথা বলবে। তাতে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা হবে। সমস্যা মেটানোর বিষয়ে আশাবাদী রেলমন্ত্রক।
চলতি বছরই মার্চ মাসে নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর রুটে মেট্রো চলাচল শুরু হয়ে যাবে। সেই প্রস্তুতি পুরোদমে শুরু হয়ে গিয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী থাকবেন কিনা তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি। তবে কিছুদিন আগেই উজবেকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যখন প্রধানমন্ত্রী নিজের বক্তব্য রাখছেন তখন তাঁর পিছনের পর্দায় ফুটে উঠেছে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের ছবিই। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে এই প্রকল্প নিয়ে কতটা উৎসাহী কেন্দ্র। আর নির্বাচনের আগে এই প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করে প্রধানমন্ত্রী হয়তো এই বার্তা দেওয়ারই চেষ্টা করলেন, যে বাংলার উন্নয়ন ঘিরে কতটা আগ্রহী কেন্দ্র।