শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হবে শুভেন্দুর, নন্দীগ্রামে কি প্রচারেও যাবেন মোদী

বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে অমিত শাহর সঙ্গে তাঁর এক বার সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছিল। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে পৃথক ভাবে কখনওই কথা হয়নি। সংসদে মুখোমুখি হয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু তার অতিরিক্ত নয়।

কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপি সূত্রের খবর, দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়দের মতোই শুভেন্দুরও কথা হবে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে নেতাজি জয়ন্তীর অনুষ্ঠানের পর ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে একটি বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে আটজন বিজেপি নেতাকে ডাকা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন শুভেন্দু । তা ছাড়া থাকবেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অমিতাভ চক্রবর্তী প্রমুখ। সেখানেই মোদীর সঙ্গে শুভেন্দুর কথা হবে।

এক সময়ে ঠিক হয়েছিল, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে বিধানসভা থেকে ইস্তফা দিয়ে শুভেন্দু একবার দিল্লিতে যাবেন। তার পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এসে, তার পর বিজেপিতে সামিল হবেন। কিন্তু পরে প্ল্যান বদলাতে হয়। কারণ সে সময়ে কৃষক আন্দোলন সামলাতে ব্যস্ত ছিল দিল্লির সরকার।

নেতাজির জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি এ ধরনের সফরে এলেও বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে যান দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়রা।

এ বার ঠিক হয়েছিল, রাজ্য নেতারা ভাগাভাগি করে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে থাকবেন। শীর্ষ নেতারা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে যাবেন। তার পর কিছু নেতা জাতীয় গ্রন্থাগারের অনুষ্ঠানে থাকবেন, বাকিরা থাকবেন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের অনুষ্ঠানে। সেই প্ল্যান কিছুটা বদলেছে।

বিজেপির এক নেতার কথায়, প্রধানমন্ত্রী কলকাতায় এলেই রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতিরও খোঁজ নেন। প্রতিবারই দেখা যায়, বিমানবন্দরে মুকুল রায়ের সঙ্গে দু’মিনিট হলেও আলাদা কথা বলেন তিনি। কারণ, রাজ্য নেতাদের মধ্যে মুকুলের অভিজ্ঞতা বেশি, অনেক বেশি পোড়খাওয়া। এখন শুভেন্দুকে নিয়েও প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহ ও উৎসাহ রয়েছে। সম্ভাবনাময় তরুণ নেতৃত্বকে বরাবরই উৎসাহ দেওয়ার পক্ষে তিনি।

সার্বিক এই পরিস্থিতিতে রাজ্য বিজেপিতে এই আলোচনাও শুরু হয়েছে যে নন্দীগ্রামে কি শুভেন্দুর হয়ে প্রচারে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। এটা ঠিক যে নন্দীগ্রামে কে প্রার্থী হবেন, তা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেনি বিজেপি। কিন্তু যেই সেখানে প্রার্থী হোন লড়াইটা হবে শুভেন্দুর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ফলে বাংলায় বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামই হয়ে উঠতে পারে প্রধান ব্যাটেল গ্রাউন্ড।

রাজ্য বিজেপির এক নেতার কথায়, চোদ্দর ভোটে আসানসোলে প্রচারে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, মুঝে দিল্লি মে বাবুল চাহিয়ে। এ বার নন্দীগ্রামে গিয়েও বড় কথা বলে দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.