নৈশ কার্ফুর সময় কিছুটা শিথিল হয়েছে। আংশিক লডকাউনে বিধিনিষেধের রাশ কিছুটা আলগা করার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার রাজ্যজুড়ে বার-রেস্তোরাঁ খোলা রাখার সময়ও বাড়ল। এতদিন পানশালা বা রেস্তোরাঁ রাত ৮টা অবধি খোলা রাখা যেত। সরকারের নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত হোটেল-বার-রেস্তোরাঁ খোলা রাখা যাবে। আগামী সোমবার অর্থাৎ ১৬ অগস্ট থেকে রাজ্যজুড়ে এই নিয়ম লাগু হবে।
বৃহস্পতিবারই নবান্নের সভাঘর থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকায় নাইট কার্ফু বা রাত্রিকালীন বিধিনিষেধের নিয়ম কিছুটা শিথিল করা হবে। এতদিন রাত ৯টার থেকে পরদিন ভোর ৫টা অবধি রাস্তায় চলাফেরায় কড়া নিয়ম জারি ছিল। কিন্তু আগামী সোমবার থেকে তা কমিয়ে রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা করা হবে। রাত্রিকালীন নিষেধাজ্ঞার কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল হওয়ার পরেই হোটেল-বার-রেস্তোরাঁ খোলা রাখার সময়ও ঘণ্টা দুয়েক বাড়ানো হল।
ইতিমধ্যেই বার খোলা ও বন্ধের সময় নিয়ে অসন্তোষ শুরু হয়েছে। পানশালার কর্মীদের অভিযোগ, সরকারি ও বেসরকারি অফিস পূর্ণ সময়ের জন্যই খোলা থাকছে, শুধু বারগুলির জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। অফিস শেষ করে বারে আসার সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। বেশিরভাগ জেলাতে এখনও পানশালা খোলার অনুমতি দেওয়া হয়নি, এদিকে কর আদায় করা হচ্ছে পুরোদমে। সরকারি নির্দেশিকার কারণে বার ডান্সাররাও ক্ষতির মুখে বলে অভিযোগ উঠেছে। দাবি, পশ্চিমবঙ্গে কয়েক লক্ষ পানশালা আছে, সেখানে সিঙ্গার ও ডান্সাররা পারফর্ম করেন। নয়া নির্দেশিকার কারণে তাঁদের রোজগার বন্ধ হওয়ার মুখে। অনেকেই তীব্র আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছেন। এই ব্যাপারে বিশদে লিখে সরকারকে আবেদনপত্র দেওয়া হলেও তাতে সুরাহা হয়নি। তাই বিষয়টা নিয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য প্রতিবাদে সামিল হওয়ার কথাও বলেন বারকর্মীরা। শহর ও জেলার বারকর্মীরা একসঙ্গে মিলে প্রতিবাদ কর্মসূচী নিতে পারেন বলে জানা গিয়েছিল।
মুখ্যমন্ত্রী গতকালের সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়ে দিয়েছিলেন চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত রাজ্যে বিধিনিষেধ জারি থাকবে। তবে নিয়মের রাশ আলগা হলেও কোভিড বিধি কঠোরভাবে মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে চলার মতো বিধি লঙ্ঘন করা হলে প্রশাসনের তরফে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।