নৈহাটি বিস্ফোরণ কাণ্ডে রাজ্য পুলিশের সিনিয়র আইপিএস মনোজ ভর্মা এবং দুই আমলা চৈতালি চক্রবর্তী ও প্রণব নস্করের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থার জন্য নবান্নকে সুপারিশ পাঠাল জাতীয় তদন্তকারী এজেন্সি।
গত বছর জানুয়ারি মাসে নৈহাটিতে একটি বেআইনি আতসবাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটেছিল। সেই বিস্ফোরণে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়। ওই আতসবাজি কারখানার মালিক ছিলেন শেখ নুর হোসেন। যেহেতু বাংলায় খাগড়াগড় কাণ্ডের মতো ঘটনার অতীত রয়েছে, তাই নৈহাটি বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্ত করে দেখে এনআইএ। তদন্তে জানায় যায়, কাচড়াপাড়ার এক কেমিকেলের দোকান থেকে তারা রসদ সংগ্রহ করত।
এনআইএ তদন্ত করে দেখেছে, শুধু ওই আতসবাজি কারখানাটিই নয়, এলাকায় ওরকম আরও বেআইনি কারখানা রয়েছে। যারা ওই কাচড়াপাড়ার দোকান থেকেই মাল মশলা সংগ্রহ করত। তদন্ত কর্তাদের মতে, গোটা কারবারই চলত স্থানীয় পুরসভা, প্রশাসন ও পুলিশের এক শ্রেণির অফিসার ও কর্মীর সঙ্গে যোগাসাজস করে। তার ফলে কারখানার শ্রমিকদের শুধু যে জীবনের ঝুঁকি ছিল তা নয়, জীবনের ঝুঁকি ছিল এলাকায় বসবাসকারী মানুষেরও।
এনআইএ-র মতে যাঁদের কর্তব্যে অবহেলার কারণে মানুষের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সেই সময়ে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার ছিলেন মনোজ ভর্মা। জেলাশাসক ছিলেন চৈতালি চক্রবর্তী। আর জেলা ইন্ডাস্ট্রি সেন্টারের জেনারেল ম্যানেজার ছিলেন প্রণব নস্কর। এই তিন জনের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ পাঠানো হয়েছে নবান্নকে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ মাসের গোড়ায় ওই চিঠি পাঠিয়েছে এনআইএ।