৯০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চতুর্থ দফার ভোটে, কোচবিহার-দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নজিরবিহীন নিরাপত্তা

শনিবার বাংলায় চতুর্থ দফার ভোট। পাঁচ জেলার ৪৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এই দফায়। তার আগে আজ শুক্রবার কমিশন সূত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর যা বন্দোবস্তের খবর জানা গেল তাতে দেখা যাচ্ছে এই দফায় ৯০০ কোম্পানি বাহিনীকে ব্যবহার করা হবে। সরাসরি বুথ পাহারায় মোতায়েন করা হবে ৭৯৩ কোম্পানি বাহিনী। বাকি বাহিনীকে ব্যবহার করা হবে ভোট পরবর্তী কাজের জন্য। কোচবিহার ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় যে পরিমাণ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে তা নজিরবিহীন।

নির্বাচনী নির্ঘণ্টেই স্পষ্ট হয়েছিল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে কমিশন। কারণ গত পঞ্চায়েত থেকে লোকসভা—এই জেলায় ব্যাপক ভোট লুঠের অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। এবার দেখা যায়, একমাত্র এই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতেই তিন দফায় ভোট করাচ্ছে কমিশন।

শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ১১টি আসনে ভোটগ্রহণ ভাঙড়, বজবজ, মহেশতলার মতো আসনে ভোট রয়েছে শনিবার। যা রাজনৈতিক ভাবে অত্যন্ত স্পর্ষকাতর বলেই মত অনেকের। তা ছাড়া কলকাতা লাগোয়া যাদবপুর, কসবা, বেহালার দুটি আসনেও ভোট হবে শনিবার। দেখা যাচ্ছে বারুইপুর জেলা পুলিশের অন্তর্গত কেন্দ্রগুলির জন্য ৪৫ কোম্পানি, কলকাতা পুলিশের আওতাধীন দক্ষিণ ২৪ পরগনার যে যে এলাকায় ভোট রয়েছে তার জন্য ১০১ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের অন্তর্গত এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে ৪৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।

তা ছাড়া হাওড়ার জন্য ১৪০ কোম্পানি, হুগলির জন্য ১৭৫ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করেছে কমিশন। শনিবার উত্তরবঙ্গের দুটি জেলাতেও ভোট রয়েছে। কমিশন সূত্রে জানা গেছে, কোচবিহারের ৯টি আসনের জন্য বেনজির নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখছে কমিশন। রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, নিশীথ প্রামাণিকদের জেলায় মোতায়েন করা হবে ১৮৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। পঞ্চায়েত ভোটে এই জেলায় দেখা গিয়েছিল একে ৪৭, কার্বাইনের মতো অস্ত্র বেরিয়ে পড়েছে রাজনৈতিক সংঘর্ষে। হতে পারে সে কারণেই এত আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা রাখতে চাইছে কমিশন। আলিপুর দুয়ারের জন্য ১০৫ কোম্পানি মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রথম তিন দফার ভোটে বেশ কিছু অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। বিশেষত তৃতীয় দফার ভোটে তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলকে বাঁশ হাতে তাড়া করার ছবি এবং বিজেপি প্রার্থী পাপিয়া অধিকারীকে ধাক্কা মারার ছবি দেখে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে লাভ কী হল। ফলে চতুর্থ দফার ভোটে কমিশন ও বাহিনীর সামনেও চ্যালেঞ্জ থাকবে সুষ্ঠু ভাবে ভোট করানোর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.