রাজ্যে শুরু হল টিকাকরণ, ২১২টি কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের

আজ শনিবার ১৬ জানুয়ারি বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ কর্মযজ্ঞ  শুরু হয়েছে দেশে। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ এই কর্মযজ্ঞের সূচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের প্রায় তিন হাজার কেন্দ্র বা ভ্যাকসিন-স্পটে টিকা দেওয়া হবে স্বাস্থ্যকর্মীদের। আজ প্রথম দফায় তিন লাখ স্বাস্থ্যকর্মীর টিকার প্রথম ডোজ পাবেন। এদিকে পশ্চিমবঙ্গেও টিকাকরণ শুরু হয়ে গেছে বলে খবর। রাজ্যের মোট ২১২টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকাকরণ শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদেরই টিকা দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যে এখনও অবধি কোভিশিল্ড টিকার ৬.৯ লাখ ডোজ এসে পৌঁছেছে। কাজেই আজ প্রথম ধাপে কোভিশিল্ড টিকাই দেওয়া হবে স্বাস্থ্যকর্মীদের।

রাজ্য স্বাস্থ্যভবন জানিয়েছে, ২১২টি কেন্দ্রে মোট ৬ লাখ স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকা দেওয়া হবে। প্রতি কেন্দ্রে ১০০ জন করে স্বাস্থ্যকর্মীর নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে।  টিকাকরণের তত্ত্বাবধানের জন্য থাকবেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, জেলা আধিকারিক, মেডিক্যাল অফিসাররা। আজ বেলা ১টায় নবান্ন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে টিকাকরণ শিবিরগুলিতে পর্যবেক্ষণ করা হবে।

কলকাতার চেতলার বরো অফিসে চলছে টিকাকরণ

রাজ্যে টিকা দেওয়ার মোট ৪০৮৯টি কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। সেগুলির মধ্যে ২০৪টিতে আপাতত টিকাকরণ শুরু হবে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এসএসকেএম, নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ, আরজিকর, বেলেঘাটা আইডি, স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন, বিসি রায় শিশু হাসপাতাল এবং ৫টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে শহরের প্রতিষেধক কেন্দ্র হিসেবে বাছা হয়েছে। প্রয়োজনে টিকাকরণ শিবিরের সংখ্যা বাড়ানো বা কমানো হতে পারে। তাছাড়াও কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল যেমন, রবীন্দ্রনাথ টেগোর, অ্যাপোলো, ঢাকুরিয়া আমরি ও  টাটা মেডিক্যাল সেন্টারে টিকাকরণ হতে পারে এদিন।

টিকা দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে প্রায় ৪৪ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকেও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রথম দিনে ৩৫-৩৬ হাজার জনকে টিকা দেওয়া হতে পারে।

টিকার ড্রাই-রান যেভাবে হয়েছিল রাজ্যের জেলায় জেলায় আজও ঠিক সেভাবেই টিকার ডোজ দেওয়া হবে। প্রথমে কো-উইন অ্যাপে নাম রেজিস্টার করতে হবে স্বাস্থ্যকর্মীদের। প্রয়োজনীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার পরেই ডিজিটাল রেকর্ডে নাম উঠবে। আধারের সঙ্গে মোবাইল নম্বরের যোগ থাকা জরুরি। নাম নথিভুক্ত হওয়ার পরেই ওই মোবাইল নম্বরে এসএমএস আসবে। ইউনিক হেলথ আইডেনটিটি তৈরি হবে। এর পরে টিকার ইঞ্জেকশন দেওয়া হলে ‘অবজারভেশন রুম’এ প্রায় আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে দেখা হবে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিনা। শারীরিক কোনও রকম অশ্বস্তি হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। টিকাকরণ শিবিরগুলিতে অ্যাড্রিনালিন ইঞ্জেকশনও রাখা হয়েছে।

টিকা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে কো-উইন অ্যাপের ভ্যাকসিন মডিউলে। তাছাড়া ১০৭৫ হেল্পলাইন নম্বরও চালু হয়েছে। এখানে ফোন করে যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য জানা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.