বাংলায় প্রবল আক্রোশে ফণা তুলছে করোনা। প্রায় প্রতিটা দিন নতুন সংক্রমণ রেকর্ড ছাড়াচ্ছে। আবারও ২৪ ঘণ্টায় করোনা পজিটিভ রোগী ধরা পড়েছে ১৭ হাজারের বেশি। তবে চিন্তা বাড়িয়েছে করোনায় মৃতের সংখ্যা। একদিনেই সংক্রমণে ৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যে সংক্রমণে মৃত্যু ১১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। সংখ্যাটা রোজই বেড়ে চলেছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাঁরা কোভিড পরীক্ষা করাচ্ছেন তাঁদের প্রতি তিন জনের মধ্যে এক জনের শরীরে পজিটিভ পাওয়া যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ৫৩ বাজারের কাছাকাছই কোভিড টেস্ট হয়েছে রাজ্যে। যার মধ্যে করোনা পজিটিভ রোগী ১৭ হাজার ৪১১ জন। ভাইরাস সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও থেমে নেই। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে কোভিড অ্যাকটিভ রোগী ধরা পড়েছে ৩ হাজার ৩৮৩ জন। হাসপাতাল-নার্সিংহোমগুলোতে কোভিড বেড প্রায় ভর্তি। আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য কলকাতা ও জেলা গুলিতে সেফ হোমের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। আজই যাদবপুর স্টেডিয়াম তথা কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে কোভিড হাসপাতালের উদ্বোধন হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর জানাচ্ছে, রাজ্যে কম করেও ২৫ লাখের বেশি মানুষ অন্দরবাসেই কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। এই মুহূর্তে অন্তত ৩৮ হাজার করোনা রোগী হোম আইসোলেশনেই আছেন।
করোনা সংক্রমণ মাত্রাছাড়া কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায়। দুই জেলা মিলিয়েই প্রায় আট হাজারের বেশি পজিটিভ রোগী ধরা পড়েছে। কলকাতায় নতুন সংক্রমণ চার হাজার ছুঁতে চলেছে, একদিনে মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের। দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও নতুন সংক্রমণ চার হাজার ছুঁইছুঁই। এরপরে সংক্রমণের নিরিখে এগিয়ে হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগনা। উত্তরের জেলাগুলির মধ্যে দার্জিলিঙে সংক্রমণ বেশি, একদিনে আক্রান্ত ৪০০ জন। এদিকে বাঁকুড়া ও দুই বর্ধমানেও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। দুই বর্ধমানে নতুন আক্রান্ত যথাক্রমে ৫০০ ও ৮০০ ছাড়িয়েছে।
রাজ্যে বাড়তে থাকা সংক্রমণে লাগাম পরানোর জন্য শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই সমস্ত রেস্তোরাঁ, বার, শপিং মল, সিনেমা হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে দিয়েছে সরকার। জানানো হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সমস্ত বাজার, হাট দিনে মাত্র ৫ ঘন্টা খোলা থাকবে। সকাল ৭ থেকে ১০ টা পর্যন্ত। তার পর আবার বিকেল ৩ টে থেকে ৫ টা পর্যন্ত।