গরু ও কয়লা পাচারের তদন্তে এবার সিবিআইয়ের নোটিস রাজ্যের ছয় পুলিশ অফিসারকে। এই সপ্তাহেই তাঁদের নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে বলেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি। সূত্রের খবর, এর মধ্যে রয়েছেন রাজ্য পুলিশের ইনস্পেক্টর এবং ডিএসপি পদ মর্যাদার অফিসার।
আগেই জানা গিয়েছিল, সিবিআই মনে করছে যে সংগঠিত কায়দায় পাচার চলত তাতে পাচার চক্রের সঙ্গে প্রশাসনের একাংশের ওতপ্রোত যোগাযোগ রয়েছে। জানা গিয়েছে, এই ছজন ছাড়াও মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান ও পুরুলিয়ার আরও কিছু পুলিশ কর্তাকে সিবিআই খুব শিগগিরই নোটিস পাঠাবে।
কয়লা পাচারকাণ্ডে পুরুলিয়ার ব্যবসায়ী অনুপ মাঝি ওরফে লালার খোঁজ এখনও পায়নি সিবিআই। তাঁকে একাধিক বার নোটিস পাঠালেও তিনি হাজিরা দেননি। গত ৩১ ডিসেম্বর গরু পাচারকাণ্ডে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবসায়ী বিনয় মিশ্রের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি অভিযান হয়েছে। তাঁর নামেও লুক আউট নোটিস জারি করেছে সিবিআই। ওইদিন নোটিস দিয়ে সিবিআই বলেছিল ৪ জানুয়ারি হাজিরা দিতে। কিন্তু বিনয় মিশ্র হাজিরা দেননি বলেই খবর। এর মধ্যেই বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং অভিযোগ করেছেন বিনয় দুবাইয়ে রয়েছে।
৩১ তারিখ হুগলির কোন্নগরের শাস্ত্রী নগরে ২ ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান করে সিবিআই। অমিত সিং ও নিরজ সিংয়ের বাড়িতে হানা দেন সিবিআই অফিসাররা। ওই দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে দাবি।
এর আগে গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে এক ডিআইজি সহ বিএসএফের ৪ অফিসারকে নোটিস পাঠায় সিবিআই। ওই চারজনকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজির হতে বলা হয়। সিবিআই সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, যে চারজনকে নোটিস পাঠানো হয় তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসার।