শুক্রবার সকাল থেকেই তাততে শুরু করেছিল নন্দীগ্রাম। একদিকে তাদের পতাকা বিজেপির লোকজন ছিড়ে পুড়িয়ে দিয়েছে বলে বিভিন্ন জায়গায় মিছিল বের করে ফেলে তৃণমূল। অন্য দিকে বেলা বাড়তেই বিজেপি অভিযোগ করে, বিভিন্ন রাস্তায় সমাবেশ মুখী বাস আটকাচ্ছে তৃণমূল। পুলিশ সেসব দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে।
সে সব পেরিয়ে সভা যখন শুরু হল তখন ঢেলে ভিড়। কিন্তু সেই সভার মধ্যেই একাধিক বার গণ্ডগোলের ঘটনা ঘটল। যা নিয়ে বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল সভা ভণ্ডুল করার চেষ্টা করেছে। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আজকে অনেক আক্রমণ হয়েছে। বাস আটকানো হয়েছে। তাই আমার চিন্তা আপনারা যেন সূর্য ডোবার আগে বাড়ি ফিরতে পারেন। সভা চলাকালীন ঢিল মারল। আপনারা আতঙ্কিত হলেন। আমি সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়েছি। সিপিএমও কখনও তৃণমূলের সভায় এই জিনিস করেনি।”
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় তখন বক্তৃতা সবে শুরু করেছেন। তখনই হইচই শুরু হয়ে যায়। বক্তৃতা থামিয়ে দেন কৈলাস। পরিস্থিতি এমন হয় যে কৈলাসের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বন্দুকধারী জওয়ানরা মঞ্চের উপর উঠে আসেন। তারপর মাইক হাতে নিয়ে শুভেন্দু কিছুটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন।
এরপর বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তৃতার সময়েও একই ঘটনা ঘটে। বিজেপির অভিযোগ, সভা ভণ্ডুল করতে তৃণমূলের লোকজন ঢিল ছুড়েছে। ওই ঘটনায় উপস্থিত জনতার একটা বড় অংশ আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি শুরু করে দেয়। পদপিষ্ট হয়ে বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন বলে খবর। এক বিজেপি কর্মীর পা ভেঙে গিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের জেলার নেতা তরুণ জানা বলেন, “এদিন বেশ কিছু লোকজন বিজেপিতে যোগ দিতে গেছিল। পুরনো বিজেপির লোকজন তাঁদের মেনে নিতে পারেননি। তাই নিয়েই মারামারি হয়েছে। তৃণমূলের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই।”
পরিস্থিতি এমন হয় যে মিনিট পাঁচেকের বেশি বক্তৃতা দেননি শুভেন্দু। যাতে দ্রুত সভা শেষ করা যায়। সমাবেশে আসা কর্মী সমর্থকদের অভয় দিয়ে শুভেন্দু বলেন, “আমি মঞ্চের পিছনে থাকব। আপনারা বাড়ি ফেরার পর আমি নন্দীগ্রাম ছাড়ব।”