সারদা কেলেঙ্কারির
তদন্তে নতুন করে ঝাঁকুনি!
জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন জানিয়েছে সিবিআই। তাতে বলা হয়েছে, কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে তারা হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায়। এ ব্যপারে ক্রিসমাসের ছুটির পর আদালতে খুললে শুনানি হতে পারে বলে খবর।
রাজীব কুমার আপাতত আগাম জামিনে রয়েছেন। তাঁর বাড়িতে সিবিআই তল্লাশির ঘটনা নিয়ে কম জল গড়ায়নি। কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, ২২৭ পাতার একটি আবেদনপত্র সুপ্রিম কোর্টে জমা দিয়েছে সিবিআই। তাতে নাকি দেবযানী মুখোপাধ্যায় ও কুণাল ঘোষের বয়ানের উল্লেখ রয়েছে।
সিবিআইয়ের পাশাপাশি সারদা মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও। ২০১৩ সালে ইডিকে যে বয়ান দিয়েছিলেন সেই সময়ে জেলবন্দি কুণাল তার উল্লেখ রয়েছে।
কী বয়ান? জানা গিয়েছে ইডিকে কুণাল বলেছিলেন, ২০১১-র ভোটে ২০৫ জন প্রার্থীকে ২৫ লক্ষ করে টাকা ঢেলেছিলেন সারদার সুদীপ্ত সেন, অ্যালকেমিস্টের কেডি সিং। কেডি সিং এক সময়ে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। ২০৫জন প্রার্থীর প্রত্যেককে ২৫ লক্ষ করে বিলি করা হয়েছিল। টাকা বিলির দায়িত্বে ছিলেন মুকুল রায়, রজত মজুমদার।’
সিবিআই আবেদনে উল্লেখ করেছে, চিটফান্ড তদন্তে রাজ্য সরকার যে সিট গঠন করেছিল তার অন্যতম মাথা ছিলেন রাজীব কুমার। সারদা তদন্ত ভার সিবিআই নেওয়ার পর থেকেই একটি লাল ডায়েরির কথা শোনা যেত। বলা হয়, ওই ডায়েরিতেই নাকি লেখা ছিল সল্টলেকের সারদা দফতর থেকে কোন প্রভাবশালীকে কোন সময়ে কত টাকা দেওয়া হয়েছে।
সিবিআইয়ের বক্তব্য, বারবার চাওয়া সত্ত্বেও সিটের বাজেয়াপ্ত করা ওই লাল ডায়েরি তাদের হাতে দেওয়া হয়নি। কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি তাদের আবেদনে বলেছে, বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের কিনারা করতে রাজীব কুমারকে জেরা করা প্রয়োজন।