পশ্চিমবঙ্গ সহ পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার জন্য দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠক ডাকা শুরু করল বিজেপি।
৭ মার্চ ব্রিগেডে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগে ৪ মার্চ দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। বিজেপি শীর্ষ সূত্রে বলা হচ্ছে, ৪ মার্চ তথা বৃহস্পতিবার রাতে বা শুক্রবার সকালে দলের প্রথম প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়ে যেতে পারে।
এখন প্রশ্ন হল, এক লপ্তে কতগুলি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে বিজেপি। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা নিয়ে কংগ্রেস-বিজেপি দুই দলই এ বার কৌশলে পা ফেলছে। কাল বুধবার তৃণমূল প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারে। বিজেপি তাদের তালিকা চূড়ান্ত করার আগে নিশ্চয়ই তা পর্যালোচনা করবে। দ্বিতীয় দফার ভোটের জন্য তৃণমূলের তালিকা প্রকাশ হতে পারে শুক্রবার। তার আগে বিজেপি প্রথম দু’দফার জন্যই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দেয় কিনা সেটাই দেখার।
বাংলায় প্রথম দফার ভোটের জন্য আজ মঙ্গলবার নোটিফিকেশন জারি হয়ে গেছে। প্রথম দফার ভোটের জন্য কাল বুধবার থেকে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া যাবে। প্রথম দফায় যে ৩০ টি বিধানসভা আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে তার জন্য মনোনয়ন পেশের শেষ দিন হল ৯ মার্চ। অর্থাৎ হাতে মাত্র ৭ দিন রয়েছে।
দ্বিতীয় দফার ভোটের জন্য নির্বাচন কমিশন নোটিফিকেশন জারি করবে ৫ মার্চ শুক্রবার। অর্থাৎ শনিবার থেকে মনোনয়ন পেশ করা যাবে। ওই দফাতেও ৩০ টি আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে। ১২ মার্চের মধ্যে মনোনয়ন জমা দিতে হবে।
অনেকের মতে, এ ভাবে ধাপে ধাপে অর্থাৎ রক্ষণশীল ভাবে প্রার্থী ঘোষণাতেই পরিষ্কার যে তৃণমূল এ বার চাপে রয়েছে। এক ধাক্কায় সব আসনে প্রার্থী ঘোষণার ঝুঁকি নিতে পারছে না। কারণ, প্রার্থী তালিকা নিয়ে মন কষাকষি শুরু হয়ে গেলে হয়তো আর এক প্রস্ত দল ভাঙার আশঙ্কা রয়েছে। অবশ্য তৃণমূলের একাধিক নেতার কথায়, এ সব বাজে কথা। রাজনীতিতে কোনও স্থির কৌশল থাকে না। পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হয়। তেমনটাই করা হচ্ছে।
বস্তুত ধাপে ধাপে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা দুই সর্বভারতীয় দল কংগ্রেস ও বিজেপির বরাবরের রীতি। কারণ, এই দুই দলেরই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি বা পার্লামেন্টারি বোর্ড প্রার্থী মনোনয়নের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। এক সঙ্গে চারটে পাঁচটা রাজ্যে ভোট হলে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে অনেকটা সময় লাগে তাদের।