কে বলবে গতকাল সন্ধ্যায় তাঁর কনভয় দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। শনিবাসরীয় বিকেলে মহিষাদলের দ্বারিবেড়িয়ার সভা থেকে কয়লা, গরু, পাথর, বালি পাচার নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে চোখা আক্রমণ শানালেন কেন্দ্রীয় পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।
এদিন তিনি বলেন, “আমি পাঁচবছর আগে আসানসোলে বলেছিলাম, কয়লা পাচার যারা করছে তাদের সবাইকে ধরা হবে। একটু ভরসা রাখুন।” এমনিতেই গত একমাস যাবৎ বাংলায় পাচার তদন্ত নিয়ে গা ঝাড়া দিয়ে নেমেছে সিবিআই। গরু পাচারের অভিযোগে মুর্শিদাবাদের ব্যবসায়ী এনামুল হককে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি। এদিন বাবুল বলেন, “যাহা এনামুল তাহাই তৃণমূল।”
‘ভাইপো’কে উদ্দেশ করে এদিন ও তীব্র আক্রমণ শানান আসানসোলের সাংসদ। তিনি বলেন, “কয়লা, বালি যা পাচার হয় সব টাকা যায় শান্তিনিকেতনে। আমাদের বোলপুরের শান্তিনিকেতন নয়। আর একটা শান্তিনিকেতন রয়েছে সেখানে।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানায় বাংলায় নিষ্ঠুরতা চলেছে বলে তোপ দাগেন বাবুল। তাড় কথায়, “দিদি বলতে আমরা বুঝি ভালবাসা। আদর। কিন্তু দিদির মানেটাই বাংলায় বদলে গেছে। চূড়ান্ত নিষ্ঠুরতার প্রতিশব্দ হয়েছে দিদি।”
এদিন বাবুলের সঙ্গেই পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের মঞ্চে বক্তৃতা দেন নব্য বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর পরেই সভায় বক্তৃতা দেন বাবুল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা খরচের হিসেব সব রাজ্য জমা দেয়। কিন্তু বাংলা কোনও হিসেব দেয় না।”
ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, এনামুলের বিরুদ্ধে সিবিআই একটি ডায়েরি পেশ করেছে বিশেষ আদালতে। বাবুল বলেন, “সেখান থেকে জানা যাচ্ছে তাতে বিএম-এর নাম লেখা রয়েছে। কে বিএম সবাই জানে।” প্রসঙ্গত গত পরশু দিনই দিনভর কলকাতা-সহ পাঁচ জায়গায় পাচার কাণ্ডে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। তৃণমূল যুব নেতা বিনয় মশ্রর বাড়ি ও অফিসেও তল্লাশি চালানো হয়েছে। অনেকের মতে, বাবুল হয়তো বিএম অর্থে সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন।