ত্রিপুরার কোভিড পরিস্থিতি এবং তা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের ব্যবস্থাপনার খোঁজ খবর নিতে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে ফোন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী ফোন করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে। বিপ্লব দেব টুইট করে জানিয়েছেন, রাজ্যকে যথা সম্ভব সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
কোভিড সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে ইতিমধ্যেই একাধিক পদেক্ষেপ করেছে ত্রিপুরা সরকার। এদিনই আগরতলার হাপানিয়ায় ৩০০ বেডের কোভিড সেন্টার পরিদর্শনে যান বিপ্লব দেব। শুক্রবার থেকেই প্রায় ২০০ বেডে চিকিৎসা পরিষেবা শুরু হয়েছে এখানে।
কোভিড চিকিৎসার ক্ষেত্রে ত্রিপুরার জেলায় জেলায় পরিকাঠামো গড়ে উঠেছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। তাঁর কথায়, “রাজ্য সরকার পরিকল্পনা করেছে সংশ্লিষ্ট জেলায় যাতে আক্রান্তদের চিকিৎসা করা যায় তা সুনিশ্চিত করা। তার জন্য প্রতিটি জেলায় কোভিড চিকিৎসার সুবন্দোবস্ত করা হয়েছে। গোটা ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছ।”
টিকাকরণের বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেছেন উত্তর-পূর্বের বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “কোভিড সংক্রমণ মোকাবিলায় টিকাকরণে আরও গতি সঞ্চারিত করাই রাজ্য সরকারের লক্ষ্য। কম সময়ে যাতে বেশি টিকাকরণ করা যায় সেই উদ্দেশেই কাজ করছে ত্রিপুরা সরকার। এমনিতে টিকাকরণে ত্রিপুরা দেশের মধ্যে প্রথম দু’একটি রাজ্যের মধ্যে রয়েছে। আমি আবেদন করব, ৪৫-এর ঊর্ধ্বে যাঁদের বয়স, তাঁরা দ্রুত টিকা নিয়ে নিন। কেন্দ্রীয় সরকার যে নির্দেশিকা দিয়েছে, ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে টিকাকরণের, তার জন্য দুটি ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থার কাছেই অর্ডার দেওয়া হয়েছে।”
আগরতলার অটলবিহারী বাজপেয়ী রিজিওনাল ক্যানসার হাসপাতালেও কোভিড চিকিৎসার জন্য ১০০ বেডের পরিকাঠামো প্রস্তুত রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অভয় দিয়ে তিনি বলেন, “ক্যানসারের চিকিৎসা যাঁরা করাতে আসবেন তাঁদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কারণ এই ব্যবস্থা সম্পূর্ণ পৃথক।”