শনিবার দেশে শুরু হতে চলেছে প্রথম পর্যায়ের টিকাকরণ। প্রথম দিনে ৩ লাখ স্বাস্থ্যকর্মীকে দেওয়া হবে টিকা। আর এই টিকাকরণের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নীতি আয়োগের সদস্য ভি কে পল এই কথা জানিয়েছেন।
এদিন সংবাদমাধ্যমকে ভি কে পল বলেন, “টিকাকরণ কর্মসূচির সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বিষয়ে বিস্তারিত রূপরেখা তৈরি হচ্ছে।” প্রথম দিন টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু করার পরে কিছু শহরের স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়াল মাধ্যমে কথা বলতে পারেন বলেও খবর।
প্রথম দফায় দেশে ৩০০০ কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে একদিনে ১০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে। ধীরে ধীরে এই সংখ্যা বাড়বে বলেই জানিয়েছেন ভি কে পল। তিনি বলেন, “টিকাকরণ বাড়লে পরবর্তীতে আমরা ৫০০০ কেন্দ্র তৈরি রাখব। পরে আরও কেন্দ্র তৈরি হবে।”
প্রথমে ৩ কোটি স্বাস্থ্যকর্মী ও ফ্রন্টলাইন কর্মীদের টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। পরবর্তীতে ৫০ বছরের বেশি বয়স, যাঁদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ প্রভৃতি কো-মর্বিডিটির সমস্যা রয়েছে এমন আরও ২৭ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে ভি কে পল বলেন, “প্রতিটি রাজ্য যেভাবে তাদের স্বাস্থ্যকর্মীদের তথ্য পাঠিয়েছে সেই অনুযায়ী রাজ্যগুলিতে টিকাকরণ হবে। স্বাস্থ্যকর্মীদের চিন্তা করার কোনও প্রয়োজন নেই। আমি তাঁদের আশ্বস্ত করছি। তাঁরা রোল মডেল হয়ে উঠবেন।”
প্রাথমিকভাবে সরকারি হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকেই ভ্যাকসিনেশন সাইট হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। তবে বেসরকারি হাসপাতাল-নার্সিংহোমগুলিও টিকাকরণের প্রস্তাব জমা করছে। সেখানকার পরিকাঠামো খতিয়ে দেখে অনুমতি দেবে সেইসব রাজ্যের সরকার।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ বলেছেন, সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড টিকা ও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন টিকা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ভ্যাকসিন-স্পটগুলিতে। এখনও অবধি দুই কোম্পানির ১ কোটি ৬৫ লক্ষ টিকার ডোজের অর্ডার দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ১ কোটি ১০ লক্ষ সেরামের কোভিশিল্ড ও ৫৫ লক্ষ কোভ্যাক্সিন টিকার ডোজ পৌঁছে দেওয়া হবে রাজ্যগুলিতে। প্রাথমিক পর্যায়ে হায়দরাবাদ থেকে কোভ্যাক্সিন টিকার ২.৪ লাখ ডোজ চলে এসেছে দিল্লিতে। ১২ টি রাজ্যের সেই ডোজ বন্টন করা হচ্ছে। সেই টিকাকরণই শুরু হবে শনিবার থেকে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হতে চলেছে ভারতে।