মহারাষ্ট্র, কর্নাটকের পরে দিল্লি। করোনার নতুন স্ট্রেনের আতঙ্কে নাইট কার্ফু চালু হল রাজধানীতেও। দিল্লির বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ (ডিডিএমএ)জানিয়েছে, আজ ৩১ ডিসেম্বর থেকে আগামীকাল ১ জানুয়ারি পর্যন্ত নাইট কার্ফু চালু থাকবে দিল্লিতে। সকাল ৬টা থেকে চলবে রাত ১১টা অবধি। এই সময়ের মধ্যে রাস্তায় কোনওরকম জমায়েত, অনুষ্ঠান, ভিড় চলবে না। পাঁচজনের বেশি মানুষকে এক জায়গা দেখলেই কড়া ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
ব্রিটেন থেকে করোনার নতুন স্ট্রেন ঢুকে পড়েছে এ দেশেও। অন্তত ২০ জন ব্রিটেন ফেরত যাত্রীর শরীরে ধরা পড়েছে করোনার নতুন মিউট্যান্ট স্ট্রেন। এই সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। দিল্লি, কর্নাটক, হায়দরাবাদ, অন্ধ্রপ্রদেশের একাধিক বাসিন্দার শরীরে সংক্রমণ রয়েছে। বিদেশ থেকে ফিরে শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে বাসে, ট্রেনে চেপে ঘুরে বেড়িয়েছেন রোগীরা, এমন খবরও সামনে এসেছে। দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতাল, কোভিড কেয়ার সেন্টারে ব্রিটেন ফেরত যাত্রীদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
ডিডিএমএ জানাচ্ছে, ভাইরাসের এই নতুন স্ট্রেন খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়তে পারে। নতুন বছরের জমায়েত, মেলামেশা বন্ধ না করলে বহু মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ সংক্রামিতদের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন তাঁদের সকলকে এখনও চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। তাই বর্ষবরণের এই সময় বাড়তি সতর্কতা দরকার।
দিল্লির সমস্ত রেস্তোরাঁ, বারগুলিতে ৫০ শতাংশের বেশি মানুষকে ঢুকতে অনুমতি দেওয়া হবে না, এমন নির্দেশই পাঠানো হয়েছে। বাজার এলাকা, শপিং মল, পাঁচতারা হোটেল, পাবগুলিতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা হয়েছে। দিল্লির পুলিশ কমিশনার এসএন শ্রীবাস্তব বলেছেন, রাস্তায় বের হলে কোভিড প্রোটোকল মানতে হবে। মুখে মাস্ক বাধ্যতামূলক, সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং জরুরি।
করোনার নতুন স্ট্রেনের ভয়ে কয়েকটি রাজ্যে ইতিমধ্যেই নাইট কার্ফু চালু হয়েছে। আগামী ২ জানুয়ারি পর্যন্ত কর্নাটকের প্রতিটি শহরে রাত ১০ টা থেকে সকাল ছ’টা পর্যন্ত কার্ফু জারি থাকবে। মহারাষ্ট্রে অবশ্য নাইট কার্ফুর মেয়াদ ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে প্রয়োজনে নাইট কার্ফু জারির পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ। রাজ্য সরকার অবশ্য নাইট কার্ফুর সম্ভাবনা উড়িয়ে প্রত্যেককে সতর্ক ও সংযত থাকার আবেদন জানিয়েছে।