প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন কৃষকদের ট্র্যাক্টর র্যালি চলাকালীন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। কাঁদানে গ্যাস, লাঠিচার্জ, ব্যারিকেড সব কিছুকে অতিক্রম করে কৃষকদের মিছিল পৌঁছেছে লালকেল্লা। সেখানে উড়েছে কৃষক সংগঠনের পতাকা। এই পরিস্থিতিতে দিল্লির আইন শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে ও রাজধানীর নিরাপত্তা নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
সূত্রের খবর, উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভল্লা ও দিল্লির পুলিশ কমিশনার এস এন শ্রীবাস্তব। বৈঠকে এদিন দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় কৃষক ও পুলিশের যে সংঘর্ষ হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। এই বৈঠকে নিরাপত্তা নিয়ে বেশ কিছু বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। সেনাবাহিনী নামানোর সম্ভাবনাও রয়েছে বলে খবর।
ইতিমধ্যেই দিল্লির বেশ কিছু এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দিল্লির অনেক বাসিন্দা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে সরকারের তরফে মেসেজ পাঠানো হয়েছে। সেখানে লেখা, “সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী নির্দেশ পর্যন্ত আপনার এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে।”
সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ২৬ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত সিঙ্ঘু এলাকা, গাজিপুর, টিকরি, মুকারবা চক, নাংলোই প্রভৃতি এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই প্রতিটি এলাকায় ট্র্যাক্টর র্যালি উপলক্ষ্যে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল।
শুধু ইন্টারনেট পরিষেবা নয়, দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন একাধিক মেট্রো স্টেশনের ঢোকা ও বেরনোর গেট বন্ধ করে দিয়েছে। এই মেট্রো স্টেশনগুলি বেশিরভাগই উত্তর ও মধ্য দিল্লির।
দিল্লি মেট্রোর তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে, গ্রিন লাইনের স্টেশনের দরজা বন্ধ রাখা হচ্ছে। বিক্ষোভের মধ্যে যাতে সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি না হয় তার জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই স্টেশনগুলি হল- ব্রিগেডিয়ার হোশিয়ার সিং, বাহাদুরগড় সিটি, পণ্ডিত শ্রী রাম শর্মা, টিকরি বর্ডার, টিকরি কালান, ঘেওরা, মুণ্ডকা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়া, মুণ্ডকা, রাজধানী পার্ক, নাংলোই রেলওয়ে স্টেশন, নাংলোই।