এবার পৌরসভা এবং কর্পোরেশনের বোরো অফিসগুলিতে ‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’ করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নবান্ন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে জেলাশাসকদের এবং কলকাতার পুর-প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমকে তেমনটাই নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুধু তাই নয়। ভিডিও কনফারেন্সের পরে সাংবাদিক বৈঠকৈ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের বিষয়টি নির্বাচনের আগেই শুরু হয়েছিল। এইবার বহুল প্রচার করা হবে। এই কেন্দ্রর সংখ্যাও বাড়াতে বলেছেন, জানান মুখ্যমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, এই বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে স্কলারশিপ, স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী, কন্যাশ্রীর মতো জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলি সম্পর্কে সব রকম তথ্য পাওয়া যাবে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, এই ঘোষণার মধ্যে দিয়েই যেন খানিকটা স্পষ্ট হল পুরভোটের দেওয়াললিখন। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে ইঙ্গিত মিলেছে, রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি একটু নিয়ন্ত্রণে। বিধানসভা ভোটও হয়ে গেছে। এবার তাহলে পুরভোট করতে হবে যত দ্রুত সম্ভব। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের রায়ও তেমনটাই। ভোট করা জরুরি, মনোনীত প্রশাসকমণ্ডলী দিয়ে বেশিদিন চলবে না পুরসভাগুলি। ফলে পুরভোটের নিরিখে মমতার আজকের ঘোষণা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠল।
কোভিড পরিস্থিতিতে বিধানসভার সাত আসনের উপনির্বাচন নিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন তো পরিস্থিতি অনেকটাই ভাল। নির্বাচন কমিশন চাইলে এখন ভোট করে নিতে পারে।’ খানিক কটাক্ষের সুরেই মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি জানি, প্রধানমন্ত্রী বললেই কমিশন উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করবে। আমি তাই প্রধামন্ত্রীকে সেই উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ করব।’
এর পরেই পুরসভাগুলোকে সক্রিয় হতে বলে, বাংলা সহায়তা কেন্দ্র নিয়ে বিশেষ নির্দেশ দিয়ে, পুরভোট নিয়ে জল্পনাও এক কদম এগিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বস্তুত, পুরসভার ভোটের দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। তাই ভোটের আগে পুরসভার তরফে কিছু ভাল কাজের নিদর্শন জনমানসের সামনে তুলে ধরার দায়ও রাজ্য সরকারেরই। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে আদালতের তাড়া, ভোট করাতে হবে দ্রুত। তবে নবান্নের এক পদস্থ অফিসার বলেন, ‘বিধানসভার সাত আসনের উপনির্বাচন আর পুরভোট এক নয়। কলকাতা-সহ রাজ্যের প্রায় ১৩০টি পুরসভায় ভোট করাতে হবে। করোনা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত পুরসভার ভোট করানো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে।’ ওই অফিসার আরও বলেন, সবই নির্ভর করছে কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের উপর।