কয়লা তদন্তে ৩৬ জায়গায় একসঙ্গে তল্লাশি সিবিআইয়ের, কলকাতা, বর্ধমান, পুরুলিয়ায় হইহই কাণ্ড

বেআইনি কয়লা পাচার কাণ্ডে হই হই করে তল্লাশিতে নেমে পড়ল কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি সিবিআই। সূত্রের খবর, কলকাতা, বর্ধমান, পুরুলিয়া, রাঁচি, পাটনা, ভাগলপুর, বালিয়া সহ ৩৬ টি জায়গায় শনিবার সকাল থেকে এক সঙ্গে তল্লাশি শুরু হয়েছে। বেআইনি কয়লা কারবারিদের বাড়ি, অফিস, অন্য রাজ্যে তাদের আস্তানা, ঠিকানার কাগজ, নথিপত্রের সন্ধান চলছে।

বেআইনি কয়লা পাচার কাণ্ডে এর আগে আসানসোল, জামুরিয়া, বর্ধমান, পুরুলিয়া সহ একাধিক জায়গায় এক প্রস্ত তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি। সেই ঘটনায় একাধিক কয়লা মাফিয়ার নাম উঠে এসেছিল। বিরোধীদের অনেকের অভিযোগ, এরা শাসক দলের ছত্রছায়ায় বড় হয়েছে।

শনিবার রানিগঞ্জ, আসানসোলের পাশাপাশি কয়লা পাচারে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার পুরুলিয়ার বাড়িতেও হানা দিয়েছে সিবিআই। অনেকে বলেন, পুরুলিয়াতে লালার একটি রিসর্টও রয়েছে।

এ ছাড়া তল্লাশি চলছে সল্টলেক, শেক্সপিয়ার সরণি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কিছু জায়গায়।

শনিবার সিবিআইয়ের তৎপরতা নিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়নি। তবে রাজ্য বিজেপি সভাপতি গত কয়েক দিন ধরেই বলছিলেন, মাস খানেকের সব ধরপাকড় শুরু হয়ে যাবে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের মুখপাত্ররা বলছিলেন, ভোট এলেই বাংলায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি সক্রিয় হয়ে ওঠে। এদিনের ঘটনাকে অনেকে তার সঙ্গে জুড়েও দেখতে চাইছেন।

আবার বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান এদিন বলেন, “আমি তো বলেছিলাম তৃণমূল যে কায়দায় বাংলায় রাজনীতি করেছে, বিজেপি সেই কায়দাতেই ওদের শেষ করবে”। তাঁর কথায়, “সেই শেষের শুরু হয়ে গেছে। চিটফান্ড কাণ্ড, কয়লা, বালি, সিন্ডিকেট মিলিয়ে দুর্নীতির পাহাড় অনেক দিন ধরে জমে রয়েছে। চিটফান্ড কাণ্ডের তদন্তের জন্য আমি নিজে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে লড়াই করেছি। সেই তদন্ত কখনও এগিয়েছে, কখনও তো থমকে গেছে। আমরাও তো চাই চিটফান্ড তদন্তের নিষ্পত্তি হোক।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.