তৃণমূলের হাতে মার খাওয়া উত্তর দমদমের বৃদ্ধা শোভা মজুমদারের মৃত্যুর ঘটনায় সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যা নিয়ে নন্দীগ্রামের সভা থেকে পাল্টা তোপ দেগেছেন মমতাও।
এদিন অমিত শাহ টুইট করে লিখেছেন, “টিএমসি-র গুন্ডাদের নির্মম অত্যাচারে আজ বাংলার কন্যা শোভা মজুমদার মহাশয়ার মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। এই পরিবারের গভীর ক্ষত আর ব্যথা দীর্ঘদিন মমতা দিদিকে বিদ্ধ করবে। হিংসামুক্ত ভবিষ্যৎ গড়তে, বাংলার মা-বোনেদের জন্য সুরক্ষিত রাজ্য গড়তে বাংলা লড়াই করবে।”
শুধু অমিত শাহ কেন। তৃণমূল তথা মমতার বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে নেমে পড়েছে গোটা বিজেপি। অমিত মালব্য, অরবিন্দ মেনন, বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব কেউ বাদ নেই। কেউ শোভা মজুমদারকে বলেছেন বাংলার কন্যা আবার কেউ বলেছেন বাংলার মা। অনেকের মতে, তৃণমূলের স্লোগান ‘বাংলার মেয়ে’র পাল্টা হিসেবেই বিজেপি এই শব্দ ব্যবহার করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
অমিত শাহের এই টুইটের পরেই নন্দীগ্রাম থেকে মমতা বলেছেন, “আমি সব মৃত্যুকেই ধিক্কার জানাই। আমি জানি না কী ভাবে মারা গিয়েছেন। কিন্তু অমিত শাহ টুইট করে বলছেন বাংলার কী হাল! তোমার উত্তরপ্রদেশ, হাথরাস, রাজস্থানের কী হাল? তখন কি মুখে লিউকোপ্লাস্ট লাগানো থাকে? এখানে কিছু হলেই টুইট করে দিচ্ছে।”
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি নিমতার বিজেপি কর্মী গোপাল মজুমদার ও তাঁর বৃদ্ধা মাকে পেটানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আঘাতের পর বৃদ্ধার রক্ত জমাট বেঁধে কালশিটে পড়ে যাওয়া মুখে বীভৎস ছবি দেখে শিউরে উঠেছিলেন সকলেই। তারপর শুভেন্দু অধিকারী তাঁর বাড়িতে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। দিন চারেক আগেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন শোভাদেবী। সোমবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়।