সামনেই নতুন বছর ২০২১। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের ছবিটা বেশ অনেকটাই আলাদা। কারণ করোনা সংত্কমণ। করোনা পরিস্থিতির জেরে ক্রিসমাস বা নিউ ইয়ার সেলিব্রেশনে কাটছাঁট করতে বাধ্য হয়েছেন সবাই। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
দেশের বেশ কিছু শহরে একেবারেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে কোনও রকম জমায়েত বা উৎসব পালনে।
আহমেদাবাদ : এই শহরে পুলিশের পক্ষ থেকে নাইট কার্ফুতে কড়াকড়ি করা হয়েছে। কোনও রকম জমায়েত বা উৎসব পালন করা হবে না এই ছুটির দিনগুলিতে, জানিয়েছে পুলিশ। ডিসিপি (কন্ট্রোল রুম) হর্ষদ প্যাটেল জানিয়েছেন উৎসবের দিনগুলিতে শহর জুড়ে ছড়িয়ে থাকবে উর্দি ধারী ও সাদা পোশাকের পুলিশ।
হিমাচল প্রদেশ : গোটা রাজ্যেই করোনা পরিস্থিতির খারাপ অবস্থা। সিমলা, কুল্লু, কাংড়া ও মান্ডিতে কোনও উৎসব করা চলবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৫ই জানুয়ারি পর্যন্ত নাইট কার্ফু জারি থাকবে বলে খবর।
এদিকে, বাড়ছে সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানিয়েছেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই চলে আসবে করোনার ভ্যাকসিন। তিনটি ভ্যাকসিন নিয়ে এই মুহূর্তে চলছে কাজ।
বিজ্ঞানীদের সবুজ সঙ্কেত মিললেই সেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর এহেন মন্তব্য আশা জাগিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে নয়া আশার আলো দেখিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে।
তিনি বলেন, প্রত্যেকে করোনা ভ্যাকসিন পাবেন। পাটনায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিদিন প্রতিটি কেন্দ্র থেকে ১০০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তিনি জানান, ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
প্রায় ২ কোটি ‘কোভিড-যোদ্ধা’কে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সেই তালিকার প্রথম শুরুতেই রয়েছে পুলিশ, সিকিউরিটি পার্সোনাল, পুরসভার কর্মীরা। এছাড়াও যে সমস্ত কর্মীরা একেবারে সামনে থেকে করোনার সঙ্গে লড়াই করছেন তাদেরকেও দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত সরকারের। এরপর তৃতীয় ধাপে আরও বেশ কয়েকজনকে দেওয়া হবে ভ্যাকসিন।
জানা যাচ্ছে, তৃতীয় ধাপে সিনিয়র সিটিজনদের দেওয়া হবে ভ্যাকসিন। কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনা, প্রায় ২৭ কোটি বয়স্ক মানুষকে দেওয়া হবে ভারতের তৈরি ভ্যাকসিন।