‘নিউনর্মাল’ ছটপুজো। দুর্গাপুজো, দীপাবলির মতোই প্রায় জৌলুশহীন ভাবেই গ্রামীণ হাওড়ার উলুবেড়িয়া, বাউরিয়া, চেঙ্গাইল সহ বিভিন্ন জায়গায় ছটপুজো অনুষ্ঠিত হল। শুক্রবার দুপুর থেকেই উলুবেড়িয়া পৌরসভার বাউরিয়া ঘাট, চক্কাশি শরৎপল্লী ঘাট, ল্যাডলো ঘাট, উলুবেড়িয়ার কালীবাড়ি ঘাট, ফুলেশ্বরের বিবির চড়া সহ বিভিন্ন ঘাটে ছটপুজো অনুষ্ঠিত হয়।
বেলা বাড়ার সাথে সাথেই ভক্তদের ভিড়ও বাড়তে থাকে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় ভিড় বেশ কিছুটা কম বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, করোনা পরিস্থিতিতে সুষ্ঠুভাবে ছটপুজো সম্পন্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ঘাটে নজরদারির জন্য রাখা হয়েছে পুলিশ। রয়েছে সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা।
এর পাশাপাশি, নদীর ঘাটগুলিতে পুলিশের পক্ষ থেকে নিয়মিত নজরদারি চালানো হচ্ছে। প্রশাসনের তরফে এদিন আগত পুণ্যার্থীদের মাস্ক পরা ও পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখার অনুরোধ জানানো হয়। শব্দবাজি, ডিজে বক্স না বাজানোর অনুরোধ করা হয়। এদিন বাউরিয়া থানা ঘাটে ছটপুজোর অনুষ্ঠানে ভক্তদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন উলুবেড়িয়া পূর্বের বিধায়ক ইদ্রিস আলি, উলুবেড়িয়া পৌরসভার মুখ্য প্রশাসক অভয় দাস, পৌরবোর্ডের সদস্য আব্বাসউদ্দীন খান সহ পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা।
এদিকে ছট উৎসবেও এড়ানো সম্ভব হল পূর্নার্থীদের ভিড়। সুভাষ সরোবার ও পণ্ডিতিয়া রোডে বিকল্প ব্যবস্থার মধ্যেই ছট পুজো হয়। দুই সরোবরেই সতর্ক ছিল পুলিশ। আদালতের নির্দেশে রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবরে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ছটপুজো। শনিবার দুপুর পর্যন্ত বন্ধ থাকছে রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবর।
বৃহস্পতিবার থেকেই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে রাখা ছিল রবীন্দ্র সরোবর। গেটে ঝোলানো ছিল তালা। এছাড়াও, বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করে ঘিরে রাখা হয়েছিল প্রত্যেকটি গেট। প্রতি গেটে এখনও সক্রিয় পুলিশ। অ্যাসিন্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার অফিসারদেরও দেখা যায় ঘটনাস্থলে। সুভাষ সরোবরের পাশের রাস্তাতেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বাঁশের ব্যারিকেড তৈরি করে গাড়ি অথবা লোকজনের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেখানেও মোতায়েন রয়েছে পুলিশ।