রাজ্যের একাধিক স্কুলে মিড ডে মিল নিয়ে বিস্তর অভিযোগ ছাত্র-ছাত্রী তথা অভিভাবকদের। কোথাও ঠিকমতো খাবার না দেওয়া, তো কোথাও খাবারের মান নিয়ে অভিযোগ। কখনও আবার মিড ডে মিল-এর টাকা নয়ছয়ে নাম জড়ায় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। তাই এ বার কড়া পদক্ষেপ নিল নবান্ন। কলকাতা ছাড়া রাজ্যের বাকি জেলার সব স্কুলে একটা নির্দিষ্ট খাবারের মেনু ঘোষণা করে দেওয়া হলো। এই মেনু অনুযায়ীই খাবার দিতে হবে স্কুলগুলিকে। জানানো হয়েছে, সোমবার থেকেই এই নতুন মেনু অনুযায়ী দিতে হবে খাবার।
কী রয়েছে এই মেনুতে?
পূর্ব মেদিনীপুরের তরফে যে মেনু নির্দিষ্ট করা হয়েছে, তা হলো এই রকম-
সোমবার- ভাত, ডাল, আলু-সবজির তরকারি, চাটনি
মঙ্গলবার- ভাত, ডাল, ডিম/ মাছ, চাটনি
বুধবার- ভাত, ডাল, সবজি
বৃহস্পতিবার- ভাত, মাছ/ডিম, সবজি
শুক্রবার- ভাত, ডাল, আলু পোস্ত
শনিবার- ভাত, ডাল, আলু সোয়াবিনের তরকারি
শিক্ষা দফতরের তরফে জারি করা এই নির্দেশিকায় স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে মেনু শিক্ষা দফতরের তরফে দিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেই মেনু অনুযায়ী খাবার দিতে বাধ্য স্কুলগুলি। এই মেনুতে নতুন সংযোজন মাছ। এর আগে মিড ডে মিলে ডিম দেওয়া হলেও মাছ এই প্রথম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, মাছ ও ডিম দুইই দিতে হবে মিড ডে মিলে।
এ ছাড়া আরও জানানো হয়েছে শিক্ষা দফতরের তরফে একটি দল গঠন করা হয়েছে। এই দল রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শন করে শিক্ষা দফতরে এসে রিপোর্ট জমা দেবে। যদি সেই রিপোর্টে কোনও গাফিলতি ধরা পড়ে, তাহলে সংশ্লিষ্ট স্কুলকে তার দায় নিতে হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কয়েক দিন আগেই হুগলি জেলার চুঁচুড়ার বাণীমন্দির স্কুলে মিড ডে মিলে পড়ুয়াদের নুন-ভাত খেতে দেওয়ার ঘটনার পর থেকেই এই মিড ডে মিল সংক্রান্ত অভিযোগ চরমে ওঠে। এই ঘটনা নিয়ে স্কুলের পরিচালন কমিটি, শিক্ষিকা ও প্রশাসনের মধ্যে পারস্পরিক দোষারোপের পালা শুরু হয়। হস্তক্ষেপ করতে হয় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এই ঘটনার পর পার্থবাবু স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, মিড ডে মিল নিয়ে কোনও রকমের অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। তারপরেই এই মেনু ঘোষণা করল শিক্ষা দফতর।