ভারত ও পাকিস্তানের সরকারদ্বয় ১৯৫০ সালের ৮ই এপ্রিল এই দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে আপন আপন সংখ্যালঘুদের রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেয়। পূর্ববঙ্গে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বেড়ে চলে। ভারতের রাজনৈতিক নেতৃত্বের এক বৃহৎ অংশ এর বিরোধিতা করেন। এর প্রতিবাদে নেহেরু মন্ত্রীসভার মন্ত্রী হয়েও প্রতিবাদে লোকসভায় প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। নেহেরু মন্ত্রীসভা থেকে তিনি পদত্যাগ করেন। এই চুক্তিতে মুখ্য যেসব বিষয় ছিল তা হল –

ভারত ও পাকিস্তানের সরকারগণ সর্বতোভাবে সম্মত যে প্রত্যেকেই আপন অঞ্চলে সংখ্যালঘু নাগরিকদের বাকিদের সাথে সম্পূর্ণ সমতা নিশ্চিত করবে। উভয় দেশই নাগরিকদের ধর্ম নির্বিশেষে জীবন, সংস্কৃতি, সম্পত্তি এবং ব্যক্তিগত সম্মানের ক্ষেত্রে সুরক্ষার পূর্ণ বোধ, অভ্যন্তরীণ যে কোন স্থানে গমনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে।

আইনকানুন ও নৈতিকতার ধারণা বাধাপ্রাপ্ত না হলে উভয় দেশ সকলকে পেশা, বাক স্বাধীনতা এবং উপাসনার স্বাধীনতা দেবে।

সংখ্যালঘুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের সদস্যদের সাথে সাথে তাদের দেশের জনজীবনে অংশ নিতে, রাজনৈতিক বা অন্যান্য পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার এবং তাদের দেশের নাগরিক ও সশস্ত্র বাহিনীতে দায়িত্ব পালন করার সমান সুযোগ পাবে। উভয় সরকারই এই অধিকারগুলিকে মৌলিক হিসাবে ঘোষণা করবে এবং কার্যকরভাবে রূপায়িত করতে প্রয়াসী হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী এই চুক্তিতে সংবিধান দ্বারা ভারতের সকল সংখ্যালঘুদের এই অধিকারগুলি নিশ্চিত করার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন যে পাকিস্তানের গণপরিষদ কর্তৃক গৃহীত প্রস্তাবিত উদ্দেশ্যগুলিতেও অনুরূপ বিধান বিদ্যমান রয়েছে। উভয় সরকারেরই নীতি এই যে গণতান্ত্রিক অধিকারগুলি সকল নাগরিককে ধর্মবির্বিশেষে সুনিশ্চিত করা হবে।

উভয় সরকারই জোর দিয়ে বলতে চায় যে সংখ্যালঘুদের আনুগত্য তারা যে রাষ্ট্রের তার প্রতি থাকবে  এবং তাদের অভাব অভিযোগগুলির প্রতিকারে তারা একমাত্র নিজস্ব সরকারের দ্বারেই প্রার্থনা জানাবে

  • নেহেরু লিয়াকৎ প্যাক্ট ১৯৫০

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.