রাজ্যে গণতন্ত্র নেই৷ সম্প্রতি তাই বাংলার সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে রাজ্যের একটি লোকসভা কেন্দ্র থেকে নরেন্দ্র মোদীকে প্রার্থী হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন মুকুল রায়৷ এরপরই জল্পনা তৈরি হয়েছিল যে বাংলার একটি লোকসভা কেন্দ্র প্রার্থী হতে পারেন মোদী৷ কিন্তু এ জল্পনাতে জল ঢেলে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শা জানিয়ে দিলেন আপাতত এরকম কোনও পরিকল্পনা নেই৷
সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে দু-দফার ভোট গ্রহণ হয়েছে৷ তৃতীয় দফার ভোট গ্রহণের আগে শুক্রবার বুনিয়াদপুরে প্রচার করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ মঞ্চ থেকেই বাংলায় পরিবর্তনের বার্তা দেন তিনি৷ ওই দিনই রাজ্য বিজেপির শীর্ষনেতা মুকুল রায় জানিয়েছিলেন, বাংলাকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রয়োজন৷ তাই তাকে অনুরোধ করা হয়েছে বাংলা থেকে প্রার্থী হওয়ার জন্য৷ যদিও ওই সময়ও নির্দিষ্ট ছিল না যে মোদী বাংলার কোনও লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচন লড়বেন৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার গতবারের লোকসভা কেন্দ্র উত্তরপ্রদেশের বারানসি থেকেই এবারও নির্বাচন লড়ছেন৷
দেশে তৃতীয় দফা ভোট মঙ্গলবার৷ বাংলার পাঁচ লোকসভা কেন্দ্রে রয়েছে ভোট৷ সোমবার রাজ্যে পৌঁছে গিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ৷ এদিন রাজ্যে তাঁর চারটি সভা রয়েছে৷ তার আগে নিউটাউনের সুইস হোটেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অমিত শাহ৷ সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জানান, না এখনই সে রকম কোন পরিকল্পনা নেই৷
সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রশ্ন উত্তর পর্বে অমিত শা আরও বলেন, ‘‘রাজ্যে এবার বড় পরিবর্তন হতে চলেছে৷ মমতা প্রথম দুফা থেকেই বুঝে গিয়েছেন এবার আর জয় আসবে না৷ প্রচারেও ভালো ভিড় হচ্ছে না৷ হতাশায় কমিশনের সমালোচনা করছেন৷ মমতা দিদির মুখে গণতন্ত্রের কথা শুনে ভালো লাগে, কারণ উনি তো গণতন্ত্রের কবর দিয়েছেন৷’’
পাশাপাশি বিজেপি সভাপতির দাবি সাধারণ মানুষ মোদীকেই প্রধানমন্ত্রী আসনে দেখত চান৷ নিউটাউনে শা বলেন, ‘‘দেশের সুরক্ষা কাদের হাতে তা ঠিক হবে এই ভোটের মাধ্যমে৷ সন্ত্রাস দমনে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে কেন্দ্র৷ তাই দেশবাসী ঠিক করবেন কারা আসবে দেশ পরিচালনার ক্ষমতায়৷ মোদীকে ফের প্রধানমন্ত্রী দেখতে চান ভারতবাসী৷ বাংলায় দু দফায় ভোট হয়ে গিয়েছে৷ জনাদেশ বিজেপির পক্ষেই যাবে৷’’