বাংলায় ভোট প্রচারে এক প্রস্ত শরীর ঘামিয়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উত্তর চব্বিশ পরগণার ঠাকুরনগর, দুর্গাপুর এবং উত্তরবঙ্গে জলপাইগুড়িতে এরই মধ্যে সভা করেছেন। তবে সে সব ভোট ঘোষণার আগের কথা। এ বার বকেয়ার ব্রিগেড সভা দিয়ে বাংলায় চূড়ান্ত পর্বের প্রচারে নামতে চলেছেন বিজেপি-র প্রধান কাণ্ডারী। একই দিনে সভা করবেন শিলিগুড়িতেও।
রাজ্য বিজেপি-র সাংগঠনিক দায়িত্ব সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আপাতত দুটি সভার জন্য দিল্লি থেকে সবুজ সংকেত পাওয়া গিয়েছে। ৩ এপ্রিল বাংলায় জোড়া সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। দুপুর ১ টায় শিলিগুড়িতে তাঁর প্রথম সভা হবে। বিকেল ৩ টেয় দ্বিতীয় সভা হবে ব্রিগেডে। ব্রিগেডে সভা করার জন্য সেনাবহিনীর কাছে অনুমতিও চাওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডে সভা করেছিল তৃণমূল। বিজেপি জানিয়েছিল, তার পর পরই সেখানে পাল্টা সভা করবে তারা। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে সেই প্রস্তুতি নেওয়া যায় নি। তা ছাড়া সংসদের অধিবেশন থাকায় অসুবিধা হয়েছিল। তবে বিজেপি না করলেও তৃণমূলের পর ব্রিগেডে সভা করেছিল সিপিএম। কিছুটা চমকে দেওয়ার মতোই কর্মী সমর্থক ব্রিগেডে জড়ো করতে সফল হয়েছিলেন সিপিএম নেতৃত্ব।
মোদীর সেই বকেয়া সভাই এ বার হবে ব্রিগেডে। রাজ্য বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, একই দিনে ব্রিগেড ও শিলিগুড়িতে প্রধানমন্ত্রী সভা করলে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে সমান ভাবে তার প্রভাব পড়বে বলেই আশা করা হচ্ছে। তবে ওই দুই সভাই শেষ নয়। বাংলায় এ বার ভোট হবে সাত দফায়। প্রতিটি দফাতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে দিয়ে অন্তত একটা করে সভা করানোর লক্ষ্য রয়েছে দলের। তবে এমনও হতে পারে এক দিন এসে পর পর দু’টি দফার ভোটের জন্য একাধিক সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী।
অন্যদিকে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সূত্রে খবর, বাংলায় এ বার কৌশলগত ভাবেই চলছে বিজেপি। সব আসনে দল প্রার্থী দিচ্ছে ঠিকই। কিন্তু তার মধ্যে কিছু আসনকে অগ্রাধিকারের তালিকায় রাখা হয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে বেছে এমন ২৭ টি আসনে বেশি নজর দেওয়া হবে সংগঠনের তরফে। কেন্দ্রীয় নেতাদের এনে সেখানে ঘন ঘন প্রচার, জনসভা ও রোড শো-র ব্যবস্থা করা হবে। তা ছাড়া বলিউডের কয়েকজন তারকাকে এনে প্রচারের কৌশলও নিতে পারে দল।