দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা নিয়ে শুধু রাজ্য নয় সরগরম জাতীয় রাজনীতি। বুধবার তার আঁচ মিলল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গলায়। বসিরহাট আসনে দলের প্রার্থী সায়ন্তন বসুর সমর্থনে টাকিতে সমাবেশ করেন মোদী। আর সেখানেই টেনে আনেন মঙ্গলবারের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “কাল কলকাতার ছবি গোটা দেশ দেখেছে। গোটা দেশে তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির প্রতি মানুষের সমর্থন দেখে দিদি ঘাবড়ে গিয়েছেন। আর ঘাবড়ে গিয়ে দিদি কোথায় নেমেছেন তা দেশ আর দুনিয়া দেখছে।”
মঙ্গলবার কলকাতায় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর রোড শো ঘিরে বিদ্যাসাগর কলেজের সামনে গোলমালের কথা উল্লেখে না করেই মোদী বলেন, “দু’দিন আগেই দিদি বলেছিলেন, ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বদলা নেবেন। প্রকাশ্যে বলেছিলেন। সেই ঘোষিত এজেন্ডা মতোই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অমিত শাহর উপরে হামলা হয়েছে।” এটাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা বলে দাবি করে মোদীর মন্তব্য, “গতকালের হিংসার পরে দিদি আপনি আর আপনার দলবল যে ধরনের রাজনীতি করছেন তার স্বরূপ বিশ্ববিদ্যালেয়ের ছাত্ররাই প্রকাশ্যে এনে দেবে।”
রাজ্যে প্রতি দফার ভোটের আগেই সমাবেশ করতে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। সব সভায় তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণের পাশাপাশি নিজের সাফল্যগাথাও তুলে ধরেছেন। কিন্তু এদিন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সেই পথে না হেঁটে আক্রমণ শানিয়ে যান মোদী। আর তার জের ধরেই তিনি বাংলায় বলেন, “দিদির চোখে অহঙ্কারের পর্দা।” আক্রমণাত্মক নরেন্দ্র মোদী এদিন আরও বলেন, যেই গণতন্ত্র দিদিকে সম্মান দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদ দিয়েছে আজ ক্ষমতার নেশায় দিদি সেই গণতন্ত্রের গলা টিপতে নেমেছেন। তাঁর কথায়, ক্ষমতা আর জনতাকে নিজের গোলাম মনে করার ভুল করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শেষ দফার ভোটের আগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণই যে নরেন্দ্র মোদীর প্রধান অস্ত্র তা এদিন স্পষ্ট হয়েছে টাকির সমাবেশে। আর সেই অস্ত্রে নতুন সংযোজন বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনা।