প্রথমে বীরভূমের ইলামবাজার ও পরে নদিয়ার রানাঘাট। পর পর দুই সভায় নিজের বক্তব্যে দফায় দফায় ঝাঁঝ বাড়ালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভোটের প্রচারে এতদিন তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের নিন্দা করলেও এবার সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন ‘চৌকিদার’ মোদী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের প্রচারে বার বার ‘চৌকিদার’ নাম নিয়ে কটাক্ষ করছেন। আর মোদীও প্রতিটি কথার শেষ সেই ‘চৌকিদার’ নামের উল্লেখ করেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন। তাঁর কথায়, “পিসি ভাইপোর খেলা বুঝে গিয়েছে বাংলা। দিদির বিরুদ্ধে শুধু মোদী নয়, গোটা বাংলা। তিন দফায় ভোট দেখে হতাশ দিদি। এখন তাঁর নীতি হচ্ছে, গুন্ডাদের জন্য মমতা, জনগণের জন্য নির্মমতা।”
এর পরেই রীতিমতো চ্যালেঞ্জের সুরে তিন হুঁশিয়ারি দেন মোদী। তিনি বলেন, কিছু বড় পদক্ষেপ নেওয়া হবে ২৩ মের পরে। ‘চৌকিদার’ ব্যবস্থা নেবেই।
১। চিটফান্ডের নামে যারা গরিবের টাকা নিয়েছে তাদের ঠিক জায়গায় পাঠানো হবে। পাই পাই হিসেব দিতে হবে।
২। নেতা বা অফিসার যেই হও না কেন নারদা, সারদা আর রোজভ্যালিতে যুক্ত কাউকে ছাড়া হবে না
৩। নাগরিকতা আইনের সংশোধনী বিল পাশ করানো হবেই। এনআরসি-র মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারীর পরিচয় খুঁজে বের করা হবে।
৪। ধর্ম রক্ষার জন্য যাদের ভারতে আশ্রয় নিতে হয়েছে তাদের নাগরিকতার পুরো সম্মান দেওয়া হবে।
এদিন রানাঘাট লোকসভা আসনের প্রচারে আসেন মোদী। এই কেন্দ্রে ভোটারদের একটা বড় অংশ মতুয়া সম্প্রদায়। এদিন মোদী বলেন, মতুয়া সমাজের মানুষের যাবতীয় সমস্যা মেটানোর ব্যবস্থা করবে কেন্দ্রীয় সরকার। এই এলাকায় অনুপ্রবেশও বড় সমস্যা। আর সেটাকেও অস্ত্র করে মোদী বলেন, “ক্ষমতার জন্য নীতি বদলে বর্তমান রাজনীতিতে দিদির মতো কেউ নেই। অনুপ্রবেশকারী হঠাতে যিনি একদিন সংসদে কাঁদতেন তিনিই এখন অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষক।”