বারাণসীতে গঙ্গাতীরবর্তী ১০৮ টি ঘাটের মধ্যে অন্যতম হল দশ্বাশ্বমেধ ঘাট। পুরাণ মতে ভগবান ব্রহ্মা সেখানে দশটি অশ্বমেধ যজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন। তাই সে ঘাটের নাম দশ্বাশ্বমেধ ঘাট। আরেকটি মত অনুযায়ী, ভগবান ব্রহ্মা নাকি সেখান মহাদেবকে উপহার দেন। বর্তমান ঘাটটি ১৭৪৮য়ে মরাঠা সাম্রাজ্যের পেশওয়া বালাজী বাজিরাও তৈরি করেন ।
পৌরাণিক কারণ যাই হোকনা কেন ঘাটটি মূলত বিখ্যাত তার সান্ধ্যকালীন গঙ্গারতির জন্যই। প্রতিবছর এ রাজ্যের হাজার হাজার বাঙালী সেই গঙ্গারতি প্রত্যক্ষ করতে ছুটে যান বহু ইতিহাসের সাক্ষী থাকা ভারতের সবচেয়ে পুরোনো শহরগুলির মধ্যে অন্যতম বিশ্বনাথের এই শহরে। বর্তমানে সেই শহরের সাংসদ খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ।
এবারে দুদিনের রাজ্য সফরে এসে ঠিক বারাণসীর ঢংয়েই একটি ঘাট বানানোর পরিকল্পনার কথা জানালেন খোদ প্রধানমন্ত্রী।
ইতিমধ্যেই নাকি তার জমি চিহ্নিতকরণের কাজও শুরু হয়ে গেছে বলে খবর। শহরের উপকণ্ঠেই হবে ৩২ একর জমির উপর হুগলী নদীর তীরে সেই ঘাট। মূলত পর্যটনের কথা ভেবেই এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আধিকারীকরা। গঙ্গার সৌন্দর্যায়নের পাশাপাশি পর্যটকরা এলে বদলাবে স্থানীয় অর্থনীতিও ।
শহরে এসে কলকাতা বন্দরের নাম পরিবর্তন করে ইতিমধ্যেই শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর নামে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন মোদী। আগামী দিনে কলকাতা বন্দরকে ঘিরে তার বৃহত্তর পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন তিনি। হলদিয়া এবং কলকাতায় বানানো হবে মাল্টি-মোডাল টার্মিনাল। সে সঙ্গে ২০২১য়ের মধ্যে হুগলী নদীর নাব্যতা বাড়ানোর কাজও শুরু হবে বলে ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী ।