কদিন আগেই উত্তর দিনাজপুরে ধরা পড়েছিল সংখ্যালঘু স্কলারশিপের টাকা তুলে নেওয়ার এক চক্রের। এবার বীরভূমের নলহাটিতে সামনে চলে এল রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা জালিয়াতির খবর। তদন্ত করে ফাঁস করলেন খোদ বিডিও।
কেউ বিয়ে করেছে ৪ বছর আগে। কেউ আবার সন্তানের মা। কিন্তু ভুয়ো বিয়ের কার্ড দেখিয়ে তুলে নেওয়া হচ্ছিল রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা। ওই জালিয়াতির খবর পয়েই তদন্তে নামেন নলহাটির বিডিও হুমায়ুন চৌধুরী। হাতনাতে ধরা পড়ল ৮ জন। তাদের নামে নলহাটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বিডিও।
অভিযুক্তরা নলহাটির থানার নওয়াপাড়া আর তিলোরার বাসিন্দা। আট অভিযুক্তদের মধ্য ৬ জন নওয়াপাড়ার। বাকী ২ জন তিলোরার। অভিযুক্তরা হল মোমেনা খাতুন, রুবেনা খাতুন,হাসেনা খাতুন, লাসুনিয়া খাতুন,মুরসিদা খাতুন, গৌরী মাল, আশা মাল ও সাম্পাতী দাস।
ওই ৮ অভিযুক্তের মধ্যে প্রথম জনের বছর দুয়ের একটি সন্তান আছে। বাকীদের বিয়ে হয়ে গেছে ২-৩ বছর আগে। ভুয়ো বিয়ের কার্ড ও নথি জমা দিয়ে তারা রূপশ্রীর জন্য আবেদন করেছিল বিডিও-র দফতরে। টাকাও জমা পড়ছিল তাদের অ্যাকাউন্টে।
এনিয়ে নলহাটির বিডিও বলেন, কিছু নথি দেখে সন্দেহ হয়েছিল। তার পর ৮ অভিযুক্তের ডকুমেন্ট চেক করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে তথ্য। আর সরজমিনে তদন্ত করে পরিস্কার হয়ে যায় এরা সবাই বিবাহিত। আমাদের তরফে এনিয়ে নলহাটি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নির্বাচনের সময় ভীষণ ব্যাস্ততার জন্য অভিযুক্তরা ওই সুযোগ পেয়েছিল।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সরকারি প্রকল্পের অর্থ নয়ছয়, ভুয়ো তথ্য পেশ করার জন্য চারটি ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। খুবই শীগ্রহ অভিযুক্তদের সন্ধানে তদন্ত যাবে পুলিস।এছাড়াও অভিযুক্তদের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।