কোভিডের মধ্যেও বহু জেলায় বিধি ভেঙে সামাজিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে ৫০-এর বেশি জমায়েত হচ্ছে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন নবান্ন সমস্ত জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারদের নির্দেশ দিল, যেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটবে সেখানে মহামারী আইন ও বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে ব্যবস্থা নিতে।
সোমবারও সাংবাদিক বৈঠক করে কিছু বিধি শিথিল করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে জমায়েতের সর্বোচ্চ সংখ্যা এখনও ৫০। নবান্নের নির্দেশে সামাজিক ও রাজনৈতিক দুই ধরনের জমায়েতের কথাই বলা হয়েছে।
রাজ্যের সচিবালয়ের সেই নির্দেশিকায় কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের নাম করা হয়নি ঠিকই তবে অনেকে বলছেন বিজেপির জন্যই এটা করেছে নবান্ন। বিভিন্ন জেলায় গিয়ে অভ্যন্তরীণ সাংগঠনিক সভা করছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেসব সভাগুলিতে ভিড়ও হচ্ছে বলে খবর। বিজেপির অনেকের সন্দেহ সেই কারণেই হঠাত্ করে তৎপর হয়ে উঠেছে নবান্ন।
রাজ্যের এক বিজেপি মুখপাত্র টিপ্পনি কেটে বলেন, রাজ্যে কেমন বিপর্যয় মোকাবিলা আইন কার্যকর রয়েছে তা তো সবচেয়ে ভাল দেখা গিয়েছিল গত ১৭ মে। চার জন মনীষীকে সিবিআই ধরেছিল বলে তৃণমূলের কর্মীরা নিজাম প্যালেসের বাইরে সেদিন দূরত্ব বিধি মেনে কবিতা পাঠ করছিল।”
তা ছাড়া এদিনও কলকাতা ও সল্টলেকে বামেরা বিক্ষোভ কর্মসূচি করে। ধর্মতলায় বাম ছাত্র-যুবদের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার বেঁধে গিয়েছিল। মঙ্গলবার আবার ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে রাজ্য জুড়ে থানা ঘেরাও ও এফআইআর দায়েরের কর্মসূচি নিয়েছে সিপিএম।
রাজনৈতিক জমায়েত ছাড়া সামাজিক অনুষ্ঠানেও বহু জাগায় বল্গাহীন জমায়েত হচ্ছে। এদিনই উত্তর হাওড়ার সালকিয়া এলাকায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠান ফাঁকা করতে পুলিশকে যেতে হয়েছে। শাসক দলের এক নেতার ভাইঝির বিয়ের অনুষ্ঠান বলে জানা গিয়েছে।