কলকাতা
নাগরিকত্ব সংশোধিত আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ঐতিহাসিক ভুল করলেন বলে মন্তব্য বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের।
গত 17 ই ডিসেম্বর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এই মন্তব্য করলেন তিনি। মুকুলবাবুর অভিযোগ, গত কয়েকদিন যখন রাজ্যজুড়ে হাঙ্গামা শুরু হয়েছে, রেলের সম্পত্তি ধ্বংস করেছে আন্দোলনকারীরা, সাধারণ মানুষ যখন সোশ্যাল মিডিয়াতে ত্রাহি ত্রাহি রব করছে তখন তিনি প্রশাসনিক ভূমিকা পালন না করে, উল্টে আন্দোলনকারীদের সমর্থনে দল এবং নিজে পথে নামলেন। যে আইন সংসদের দুই পক্ষে পাশ হয়েছে তা নিয়ে সাংবিধানিক পদে থেকে এইরকম দ্বিচারিতা করা যায় কি ? এমনকি তিনি সাংবিধানিক রীতির বিরুদ্ধে গিয়ে সরকারি পয়সায় সাংবিধানিক নীতির বিরোধিতা করেছেন। রাজ্যের সাধারণ মানুষ এই ধরনের গা-জোয়ারি রাজনীতি দেখেছে। তারা যথাসময়ে ভোট বাক্সে তার জবাব দেবে বলে মুকুলবাবু আশা ব্যক্ত করেন।
অতীতে সিঙ্গুর নিয়ে আন্দোলন, নোট বন্দি, জিএসটি নিয়ে আন্দোলন করে শোরগোল ফেলে ছিলেন কিন্তু ভোট বাক্সে দেখা গেল সাধারণ মানুষ তার এই রাজনৈতিক অরাজকতা মেনে নেয়নি। সেবার লোকসভায় 18 টি আসন খুইয়ে ছিল শাসকদল। এবার ক্ষমতা হাতছাড়া হবে তৃণমূলের, এমনই ব্যাখ্যা দেন মুকুল রায়।
এই বিল প্রসঙ্গত মুকুলবাবুর স্পষ্ট অভিমত, বিলের কোথাও এ দেশের মুসলিমদের
তাড়িয়ে দেওয়ার কথা নেই। শুধু অত্যাচারিত, নীপিড়িত হিন্দুরা বাংলাদেশ,পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে এদেশে এলে সাদরে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এতে মুসলমানদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। অথচ তিনি বিভিন্নভাবে ভুল ব্যাখ্যা করে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা কে নষ্ট করে দুষ্কৃতিকারী, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রকারান্তরে উৎসাহিত করেছেন। আখেরে বাংলারই ক্ষতি করেছেন সাংবিধানিক ক্ষমতা ব্যবহার করে।