ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং-এর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি তুললেন মুকুল রায়। টুইট করে প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লিখেছেন, “গোটা ঘটনা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জানিয়েছি।” তিনি আরও লিখেছেন, “রাজ্য পুলিশ গোটা ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইছে। আমি সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছি।”
রণক্ষেত্র শ্যামনগর। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল ফিডার রোড এলাকা। এরপর দুপুর গড়াতেই উত্তেজনা আরও বাড়ে। সার্কাস মোড়ে বিজেপি-র অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় বিজেপি কর্মীদের। সেই সময়ে ওই জায়গায় পৌঁছন অর্জুন। তাঁর দাবি, পুলিশের লাঠির আঘাতেই তাঁর মাথা ফেটেছে।
রক্তাক্ত অর্জুনকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে আসা হয় বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে দেখতে যান বিজেপি নেতা মুকুল রায়। টুইট করে অর্জুনের উপর হামলার নিন্দার পাশাপাশি মুকুলবাবু লিখেছেন, রাজ্যের শাসকদল আর পুলিশের বেআইনি পার্টনারশিপে বাংলার আইনশৃঙ্খলা একেবারে ভেঙে পড়েছে।
অন্যদিকে ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মার বিরুদ্ধে তাঁকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ তুললেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। সরাসরি বলে দিলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যপাধ্যায়ের থেকে পুরস্কার নিয়ে, তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানাতেই মাথায় লাঠির বাড়ি মারা হয়েছে।
টুইট করে অর্জুন লেখেন, “ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা আমায় খুনের চেষ্টা করেছেন। সম্প্রতি তিনি মুখ্যমন্ত্রীর থেকে মেডেল পেয়েছেন। তাঁর নির্দেশেই এই কাজ করেছেন সিপি। অন্ধের মতো আজ্ঞা বহন করেছেন মেডেলের প্রতিদান দিতে।
যদিও এই ঘটনার পর ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে জানানো হয়েছে, সাংসদের আঘাত লেগেছে ইটের ঘায়ে। পুলিশ লাঠি চালায়নি। পুলিশের বক্তব্য, ওই ইট ছুড়েছে বিজেপি কর্মীরাই। তৃণমূলের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও দাবি করেছেন, পুলিশ লাঠি চালায়নি। বিজেপি-র কর্মীরাই মেরেছে অর্জুনকে।
কয়েক সপ্তাহ ভাটপাড়া এবং সংলগ্ন এলাকায় তেমন বড় কোনও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু তলায় তলায় যে বারুদ জমছিল তা টের পাওয়া গেল এ দিন। রবিবার সকালেই ফিডার রোডে অর্জুনের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। তারপর থেকেই উত্তপ্ত ওই এলাকা। ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদের বাড়ির সামনেও বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। গোটা এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী।