বিজেপি-র শীর্ষস্তরের একাধিক নেতাকে রাজ্য সরকারের গোয়েন্দা বিভাগ ফাঁসানোর ছক করছে বলে অভিযোগ তুললেন মুকুল রায়। একটি চিঠি দেখিয়ে মুকুলবাবু দাবি করেন, রাজ্য সরকারের গোয়েন্দা বিভাগ (আইবি) ব্যারাকপুর কমিশনারেটকে চিঠি পাঠিয়ে বিজেপি-র শীর্ষ নেতাদের কেস স্টেটাস জানতে চেয়েছে।
যে চিঠি মুকুলবাবু দেখিয়েছেন, তা আইবি-র কি না সে সত্যতা দ্য ওয়াল যাচাই করেনি। তবে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (স্পেশাল ব্রাঞ্চ)কে লেখা সেই চিঠিতে নাম রয়েছে বিজেপি-র প্রথম সারির নেতাদের। রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়-এর মতো ১৩ জন নেতা নেত্রীর নাম রয়েছে ওই চিঠিতে।
১ জুলাই ইস্যু হওয়া ওই চিঠিতে একটি হোয়াটস অ্যাপ নম্বরে কেস ডিটেইলস পাঠাতে বলা হয়েছে। ১৯ জুন থেকে ওই দিন পর্যন্ত উল্লিখিত নেতাদের বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ হয়েছে, তার মূল বিষয় এবং এখনকার অবস্থা বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে। মুকুল রায়ের দাবি, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আইবি-কে লাগিয়ে এ সব করাচ্ছেন।”
১৯ জুন ভাটপাড়া, কাঁকিনাড়া, জগদ্দল-সহ ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের একাধিক এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। প্রাণ যায় বেশ কয়েকজনের। প্রকাশ্য রাস্তায় দিনে দুপুরে মুড়িমুড়কির মতো গোলাগুলি চলতে থাকে। ইতিমধ্যেই ভাটপাড়া নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে নালিশ করেছে বাংলা বিজেপি। বিজেপি-র সংসদীয় দল ঘুরে গিয়েছে ভাটপাড়ায়। কথা বলে গিয়েছেন নিহতদের পরিবারের সঙ্গে। সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ওই দল দিল্লি পৌঁছে রিপোর্টও জমা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে।
সন্দেশখালি থেকে ভাটপাড়া- এর মধ্যে একাধিকবার রাজ্যকে অ্যাডভাইসারি নোট পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এ বার রাজ্যের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা বিভাগকে ব্যবহার করে মিথ্যে মামলা সাজিয়ে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের ফাঁসানোর অভিযোগ তুললেন একদা তৃণমূলের সেকেন্ড ম্যান। যদিও নবান্নের তরফে ওই অভিযোগ নিয়ে এখনও সরকারি প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। পাওয়া গেলে তা এই প্রতিবেদনে আপডেট করা হবে। আদৌ আইবি দফতরব কোনও চিঠি দিয়েছে কিনা তা জানতে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মার সঙ্গে। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেলে এই প্রতিবেদনেই তা আপডেট করা হবে।