সারদাকাণ্ডে বেনজির আক্রমণ মুকুল রায়ের। সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সারদার ব্যবসা উঠে যাওয়ার জন্য দায়ী করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। সাংবাদিক সম্মেলন করে এদিন মুকুল বলেন, “তিনিই সারদার আসলে সুবিধাভোগী। মমতাকে প্রোমোট করতে গিয়ে সারদার ব্যবসা নষ্ট হয়ে যায়।”
রবিরার দুপুরে মাথাভাঙার সভায় মুকুল রায়কে সঙ্গী করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “সারদা, নারদা নিয়ে বড় বড় কথা বলেছেন, কিন্তু যে লোকটা আপনার
পাশে দাঁড়িয়ে মিটিং পরিচালনা করছে সে তো সারদা, নারদা দুই কেলেঙ্কারিতেই অভিযুক্ত।”
এর জবাব দিতে কোচবিহার থেকে কলকাতায় ফিরেই সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুকুল রায়। আর সেখানেই মারাত্মক অভিযোগ তুললেন মুকুল রায়। তিনি বলেন, “আমার নাম নেওয়ার সাহস হয়নি তাঁর। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ করছি, তাঁর যদি সাহস থাকে তবে তিনি প্রমাণ করে দেখান আমি সারদাকাণ্ডে যুক্ত। প্রমাণ করতে পারলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব আর যে শাস্তি হবে তা আমি মাথা পেতে নিতে তৈরি আছি।”
এর পরেও মুকুল বলেন, “আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই তিনিই সারদার আসলে সুবিধাভোগী। মমতাকে প্রোমোট করতে গিয়ে সারদার ব্যবসা নষ্ট হয়ে যায়। আমি সারদার মালিক সুদীপ্ত সেনকে দুবার দেখেছি। সেটাও তাঁরই সৌজন্যে। একবার ডেলোয় আর একবার কলকাতার নিজাম প্যালেসে।”
এদিন নারদাকাণ্ডে তাঁর বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর তোলা অভিযোগের জবাব দেন মুকুল রায়। আর সেই প্রসঙ্গে বলেন, “কাকলি ঘোষ দস্তিদার, অপরূপা পোদ্দার সহ তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী, কলকাতার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে নারদা ফুটেজে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। তবে কি মুখ্যমন্ত্রী মানবেন তাঁরাও নারদাকাণ্ডে যুক্ত?”
মুকুল রায়ের এই সাংবাদিক সম্মেলনের পরে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। সেটা পাওয়া গেলেই এই প্রতিবেদনের সঙ্গে তা যুক্ত করা হবে।