একুশের লড়াই জমজমাট। রাজ্যে এসে নির্বাচনী উত্তাপ আরও বাড়িয়ে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। রাজ্য সরকারের তুমুল সমালোচনার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিলেন বিজেপির অন্যতম এই শীর্ষ নেতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধে এদিন নাড্ডা বলেন, ‘‘শুধু চাই না, চাই না আর চাই না। কেন্দ্রের কোনও প্রকল্প বাংলায় করতে দিচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী।’’
বিধানসভা ভোটের আগে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। পালা করে রাজ্যে আসছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। শনিবার নদিয়ার নবদ্বীপে বিজেপির পরিবর্তন যাত্রার সূচনার আগে চটিরমাঠের প্রকাশ্য সভায় উপস্থিত হয়ে রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন জেপি নাড্ডা। এর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক প্রকল্প রাজ্যে চালু করতে দেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের সভায় সেই ইস্যু তুলে ধরেই তৃণমূল সুপ্রিমোকে কড়া ভাষায় বিঁধেছেন নাড্ডা।
এদিন নাড্ডা বলেন, ‘‘শুধু চাই না, চাই না আর চাই না। কেন্দ্রের কোনও প্রকল্প বাংলায় করতে দিচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী। আয়ুস্মান ভারত গরিব মানুষের জন্য চালু হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় এই প্রকল্প করতে দিলেন না। মোদিজীর পিএম কিষাণ নিধিও বাংলায় চালু করা যায়নি। মা-মাটি-মানুষের সরকার বাংলাকে ধোঁকা দিয়েছে। বাংলায় তুষ্টিকরণের রাজনীতি চলছে। বাংলায় লুঠতরাজ চালিয়েছে তৃণমূল। বাংলায় বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। বিজেপির সরকার এলে কেন্দ্রের সব প্রকল্প বাংলায় চালু হবে।’’
এরই পাশাপাশি এদিন রাজ্যের তৃণমূল পরিচালিত সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। আমফানের ত্রাণ নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বাধীন সরকার দুর্নীতি করেছে বলে এদিন অভিযেগা করেছেন নাড্ডা।
তিনি বলেন, ‘‘বাংলায় তোলাবাজির সরকার চলছে। কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্পের নাম বদলে দিয়েছেন মমতা। আমফানের ক্ষতিপূরণ বাবদ কেন্দ্রের টাকা কার পকেটে গেল?।আমফানের টাকা থেকেও কাটমানি খেয়ে নিয়েছে। আমফানের ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। আমফানের ত্রাণ নিয়ে আদালতের রায়ে এত ভয় কেন?। কেন্দ্রের পাঠানো চাল, ডাল লুঠ করেছে তৃণমূল।’’