বাংলার সজনে গাছ, আশ্চর্য তার গুণ

এ গাছের ফল, ফুল, কচি পাতা, গাছের আঠা, কাণ্ডের ছাল, মূল –সব কিছুই ব্যবহার্য; অথচ কতই না উপেক্ষিত! Moringaceae পরিবারের অন্তর্ভুক্ত Moringa oleifera গাছটি গরীব মানুষের পক্ষে ঈশ্বরের একটি আশীর্বাদ। সবাই ব্যবহার করুন তার গুণাবলী জেনে। আবাস-সন্নিহিত স্থানে একটি সজনে গাছ লাগান। গ্রামের খামার বাড়িতে পথের ধারে কয়েকটি গাছ থাকলে মন্দ কী! মানুষ সহ গবাদিপশু গরু ও ছাগলকে সজনে পাতা খেতে দিন। বারোমাসি সজনে গাছ লাগালে সারাবছরই ফুল ও ফল পাবেন। সজনের ফুলের সৌন্দর্যে আপনি মোহিত না হয়ে থাকতে পারবেন না। কিন্তু ‘রান্নাঘর এর জাত মেরেছে‘, তাই ওর সৌন্দর্যের খোঁজ সকলে পাই না। সজনের ফল, ফুল ও পাতা অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার।


কচিপাতা রান্না করে খেলে ইনফ্লুয়েঞ্জার জ্বর ও সর্দি (Influenza fever and colds) সারে। স্বরভঙ্গগলার ভেতরের ঘা সারিয়ে তোলে শেকড়ের ক্বাথ। পাতার রস শরীরের যে কোনো ক্ষত সারিয়ে তোলেকাণ্ডের ছালের রস কৃমিনাশক, শেকড়ের ক্বাথ ফোঁড়ায় পুলটিস হিসাবে ব্যবহৃত হয়। জানা যায়, সজনের মূলের রস দেশী গরু বা ছাগলের দুধের সঙ্গে মিশিয়ে পান করলে কাশি, হাঁপানি সহ নানান রোগব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। নানান বাতের ব্যথার উপশম ঘটায় সজনের মূলের রস।


গ্রাম-বাংলায় বারোমাসি সজনের ঘনচাষ (High Density Cultivation) করে নিয়মিত ডালপালা ছেঁটে রাখলে তার ফল, ফুল, পাতা বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন কৃষক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.