লোকসভা ভোটের আগেই এটাই তৃণমূলে সবথেকে বড় ভাঙন। লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই তৃণমূলে ভাঙন ধরছে। সাংসদ, বিধায়ক এর আগেই যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। এবার প্রচুর পরিমাণে কর্মী সমর্থকেরাও তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে।
লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলকে চারিদিক থেকে ভেঙে ক্রমশই এরাজ্যের প্রধান শক্তি হয়ে উঠে আসছে বিজেপি। বিভিন্ন সমীক্ষায় পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে এরাজ্যে গেরুয়া উত্থান। আর এই নিয়ে চরম চিন্তিত গোটা তৃণমূল দল।
আরেকদিকে তৃণমূল ভেঙে বিজেপিতে যোগ দেওয়া আটকাতে পারছে না বলেই, রাজ্যের চারিদিকে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালাচ্ছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। কোচবিহারে ভোট মিটলেও শান্তি ফিরে আসেনি। কোচবিহারে ভোটের পরেও নানান যায়গায় বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার খবর এসেছে। রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা যে চরম ভাবে ভেঙে পরেছে সেটা বলাই বাহুল্য। আর রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারক রঞ্জন গগৈও।
আর এরই মধ্যে খবর আসছে যে, দ্বিতীয় দফা ভোটের আগে বড়সড় ভাঙন ধরেছে তৃণমূল এবং সিপিএমে। শনিবার বালুরঘাটের চকভৃগু প্রিন্স ক্লাব মোড়ে একটি পথসভা আয়োজন করেছিলে বিজেপি। আর সেই পথসভাতেই তৃণমূল এবং সিপিএম ছেড়ে ৩০ টি পরিবার সহ শতাধিক কর্মী সমর্থক যোগ দেন বিজেপিতে। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিশিষ্ট আইনজীবী তথা বিজেপি নেতা বিশ্বরূপ চ্যাটার্জী।
বিজেপিতে যোগ দিয়ে এক তৃণমূল কর্মী বলেন, ‘ রাজ্যে অবাধ দুর্নীতি, তৃণমূলের লাগামছাড়া সন্ত্রাসের প্রতিবাদেই আজ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলাম। নরেন্দ্র মোদীর আদর্শে অনুপ্রেরিত হয়ে পশ্চিমবঙ্গের যুব সমাজ আজ খুব খুশি। আর আমরাও নরেন্দ্র মোদীর জনমুখি কাজের জন্যই আজ বিজেপিতে যোগ দিলাম।“