ভারতীয় বিমানবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে ভাণ্দারে যুক্ত হচ্ছে একাধিক রাফায়েল।
বেশি দেরি নেই। ২১ জানুয়ারিতেই ভারতীয় বিমানবাহিনীর হাতে আসছে কমপক্ষে আরও তিনটি রাফায়েল যুদ্ধবিমান। আর সেই নতুন সদস্যদের নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী বিমানবাহিনী। এবার নিয়ে তৃতীয় বার রাফায়েল যুদ্ধবিমান সরবরাহ করতে চলেছে ফ্রান্স।
মোট ৩৬টি রাফালে যুদ্ধবিমান ৫৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে অর্ডার করা হয়েছিল। এবার তিনটি রাফায়েল বিমান ভারতে আসছে বলে জানা গিয়েছে। ফ্রান্স থেকে সোজা জামনগরে পৌঁছবে এই তিন রাফায়েল। ২০১৬-র সেপ্টেম্বরে অর্ডার করা হয়েছিল এই যুদ্ধবিমান। জানুয়ারিতে তিনটি জেট সরবরাহের ফলে আইএএফের ইনভেন্টরিতে রাফায়েলের সংখ্যা হবে ১১।
বায়ুসেনার তিনটি রাফালে যুদ্ধবিমানের নভেম্বরের গোড়ার দিকে ফ্রান্স থেকে গুজরাতের জামনগর বিমানবন্দরে পৌঁছেছিল। আইএএফ দ্বারা অর্ডার করা ৩৬টি রাফালে জেটের প্রথম ৫টি ২৯ জুলাই আম্বালা বিমানবন্দরে পৌঁছেছিল। রাফালের প্রদর্শন অনুষ্ঠিত হয় গত ১০ সেপ্টেম্বরে। লাদাখ উত্তেজনার মধ্যে রাফালের আগমন বিশেষ বার্তা দিয়েছিল চিনকেও।
লাদাখ সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরে চিন সেনা মোতায়েন করছিল। তা নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছিল ক্রমশ। দুই পক্ষের সেনাবাহিনীর মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ লেগেই ছিল। এরই মধ্যে রাফালে হাতে আসা, দীর্ঘকালীন সীমান্ত বিরোধের মধ্যে চিনের উস্কানিতে প্রভাব ফেলেছে। ভারতের সামরিক বাহিনী উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে সমর্থ হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরে লাদাখের আকাশে রাফায়েল উড়িয়ে জবাব দেওয়া হয়েছে চিনকে।
লাদাখ ও লে-র আকাশে উড়তে দেখা যায় রাফায়েল যুদ্ধবিমানকে। এরফলে স্পষ্ট, সীমান্তে একদিকে যেমন মোতায়েন সেনারা সজাগ রয়েছে, তেমনই বায়ুসেনাও নজর রাখছে চিনের ওপর।
এর আগে মিগ-২১, তেজস সহ একাধিক যুদ্ধবিমান দিয়ে আকাশ থেকে লাদাখের পরিস্থিতির দিকে নজরদারি চালিয়েছে ভারত। বায়ুসেনায় আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদানের দশ দিনের মধ্যেই এই যুদ্ধ বিমানকে অ্যাক্টিভ ভাবে কাজে লাগানো হয়। ১০ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে ভারতীয় বায়ুসেনায় যোগ দিয়েছিল রাফায়েল ফাইটার জেট।