ব্রাহ্মণদের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে বিতর্কে পিকের সংস্থা

তৃণমূল কংগ্রেস পার্টির সঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের সিদ্ধান্ত গ্রহণও কি এখন প্রশান্ত কিশোরের হাতে চলে গিয়েছে? এমনই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলা রাজনৈতিক মহলে।

গত ১০ আগস্ট “আমার গর্ব দিদি” নামক ফেসবুক পেজে একটি ছবি পোস্ট করা হয়। সঙ্গে লেখা হয়, “জনদরদি জননেত্রী মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির আরও একটি নতুন পদক্ষেপ :- ” ব্রাক্ষন এবং পুরোহিতদের মাসিক ভাতা দেবে রাজ্য সরকার।” গত ৯ অগস্ট ধর্মতলায় ‘পশ্চিমবঙ্গ সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্ট’ একটি সমাবেশ হাজির হয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, ছবিটি সেখানকার।

ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্কপ্রসূত এই ফেসবুক পেজে ব্রাহ্মণদের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে প্রশাসনিক মহলেও। কারণ এখনও অবধি নবান্ন থেকে এমন কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি, যেখানে বলা হয়েছে রাজ্যের সমস্ত পুরোহিত সম্প্রদায়কে আর্থিক ভাতা দেবে রাজ্য সরকার। তবে ওই সভাতেই সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্টের তরফে মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে সংগঠনের মুখ্য পরামর্শদাতা করা হয়। সেখানেই মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ব্রাহ্মণদের মাসিক ভাতা প্রদানের জন্য যা করতে হয় করব। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। তাঁদের স্বাস্থ্য বিমার আওতায় নিয়ে আসার উদ্যোগ নেব। তাঁদের গৃহ নির্মাণের বিষয়টিও দেখা হবে।”

ভারতীয় গণতন্ত্রে একজন মন্ত্রী আশ্বাস দিলেই তা কোনওভাবে সরকারি সিদ্ধান্ত হিসেবে গৃহীত হয় না। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমাবেশে যোগদানের ছবি দিয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দেওয়ার অধিকার কি আদৌ প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা রয়েছে? কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর সংসদ ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এখন চূড়ান্ত আস্থার পাত্র পিকে। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন সরকারি ঘোষণা প্রকাশ্যে করে দিয়েও পার পেয়ে যাচ্ছেন তিনি।

নীল রায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.