কোভিড পরিস্থিতিতে আজ, রবিবার প্রথম রাজধানীতে বৈঠকে বসছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব৷ দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরের এই বৈঠকে সমস্ত রাজ্যের সভাপতিদের ডাকা হয়েছে৷ সেখানে থাকতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও৷ রাজ্যকে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হলেও রবিবারের মিটিংয়ে সম্ভবত থাকতে পারছেন না বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
দরজায় কড়া নাড়ছে ভোট। মনে করা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ সহ পাঁচ রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট খুব শীঘ্রই প্রকাশ করতে চলেছে কমিশন। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে রাজ্যে দলের সাংগঠনিক হাল খতিয়ে দেখতে শনিবার বিজেপির সাধারণ সম্পাদকদের (সংগঠন) সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। অসমে বিজেপির সরকার রয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি এবং কেরলে বিজেপি বিরোধী দল ক্ষমতায়। এই অবস্থায় বাংলায় ক্ষমতা দখল করতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপানোর জন্য ইতিমধ্যেই পার্টি কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডারা। সূত্রের খবর, বাংলায় দলের বুথ স্তরের সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্যও প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন শাহ-নাড্ডারা। সূত্রের খবর, বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতারা দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আসন্ন বঙ্গ সফর নিয়েও খোঁজ নিয়েছেন। আজ, রবিবারও দিল্লিতে সব রাজ্যের দলীয় নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। ওই বৈঠকের পর ঘোষণা করা হতে পারে পরবর্তী দলীয় কর্মসূচিও।
পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন ছাড়াও কৃষক আন্দোলনের বিষয়টিও বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে খবর৷ কারণ দেশের পাশাপাশি দিল্লির কৃষক আন্দোলনে রেশ ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও। এদিকে তিন মাসের বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও এখনও নয়া তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে অনড় রয়েছেন প্রতিবাদী কৃষকেরা। ভোটের আগে তাই দলের ভাব মূর্তি মেরামতির কাজে জোর দিয়েছে বিজেপি৷ রাজ্যগুলিকে আজ সেই বার্তা দেওয়া হতে পারে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের৷
দু’দিন আগেই দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং রাজস্থানের জাঠ সাংসদ, বিধায়ক এবং নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। ছিলেন কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমরও। পরে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সঞ্জীব বালিয়ান জানিয়েছেন, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের ২০ জন নেতার সঙ্গে কৃষি আইন নিয়ে কথা বলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।