গরিবের চাল চুরি করেছে যারা, তাঁদের জমানত বাজেয়াপ্ত করতে হবে! জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে তুমুল কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রীর

তৃণমূলের বিরুদ্ধে করোনার চাল চুরির অভিযোগ তুলে জনতাকে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের জামানত বাজেয়াপ্ত করার আহ্বান করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার বারাসতে একটি সভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই জনসভা থেকেই রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে তুলোধোনা করেন তিনি। নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘আপনারা চাল চোরেদের চেনেন তো? ওদের হাত থেকে মুক্তি চান তো?”

নরেন্দ্র মোদীর প্রশ্নের জবাবে সপাটে উত্তরও দেন উপস্থিত জনতা। তাঁরা ‘হ্যাঁ” বলে জানিয়ে দেন যে, তাঁরা চাল চোরেদের থেকে মুক্তি চান। প্রধানমন্ত্রী ওই জনসভা থেকে বলেন, ‘কোরনা কালে কেন্দ্র সরকার রাজ্যে বস্তা বস্তা চাল পাঠিয়েছিল। দিদির লোকেরা সেগুলোও লুঠ করে নেয়।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা কালে গরিব অসহায় মানুষদের কাছে চাল পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল খাদ্যমন্ত্রীর কাঁধে। কিন্তু তিনি সেই দায়িত্ব পূরণ করতে পারেনি।”

নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘এবার এই খাদ্যমন্ত্রীর জেন জমানত না থাকে। ঘরে ঘরে গিয়ে বলতে হবে, এরা গরিব মানুষের চাল চুরি করেছে।” বলে রাখি, আগামী ২২ এপ্রিল হাবরা কেন্দ্রে বিধানসভার নির্বাচন হতে চলেছেন। ওই কেন্দ্রে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা। হাবরা কেন্দ্রে দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা প্রবল।

উল্লেখ্য, করোনা এবং আমফানের সময় চাল এবং ত্রাণ চুরির হাজার হাজার অভিযোগ উঠেছিল শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। করোনার সময়ে রাজ্যের একাধিক রেশন দোকানে গ্রাহকদের বিক্ষোভ দেখা গিয়েছিল। আমফানে ত্রাণ না পেয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছিল ক্ষতিগ্রস্তদের। যদিও সরকার এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, রাজ্যে কোনও দুর্নীতি নেই। তিনি এও বলছিলেন যে, দেশের একমাত্র দুর্নীতিমুক্ত রাজ্য হল পশ্চিমবঙ্গ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.