দেশের কৃষক আন্দোলন ২৩ দিন পূর্ণ করে ফেলেছে। কিন্তু এই সমস্যা সমাধানের কোনো লক্ষণ এখনোও পর্যন্ত দেখা যায়নি। ছয়বার কেন্দ্র ও কৃষকদের মধ্যে বৈঠক হলেও তাতে আখেড়ে কোনো লাভ হয়নি। এরমধ্যে প্রথম থেকেই কৃষি আইনের পক্ষে জোর সওয়াল করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবারেও কিষান কল্যাণ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের বিক্ষুব্ধ কৃষকদের প্রতি নির্দিষ্টভাবে বার্তা দিলেন নরেন্দ্র মোদী।
তিনি বলেন, এই আইনে কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না কৃষকরা। কেননা তাঁর সরকার কৃষকদের অন্নদাতা বলেই মনে করেন। তিনি জানান আগের সরকার কৃষকদের এমএসপি বাড়ায়নি। তার সরকারই একমাত্র ফসলের উপর দ্বিগুন এমএসপি দেয়। অতীতে সকলে শুধু কৃষকদের ব্যবহার করেছে। তাদের উন্নতি সাধনের চেষ্টা করেনি। যে কাজ ৩০ বছর আগেই হওয়া উচিত ছিল সেটা এখন হচ্ছে। এই আইনের ভাবনা বহুদিন আগের এখন তা আইনে প্রণয়ন করা হয়েছে।
মোদী বলেন, এই আইন নিয়ে কৃষকদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো প্রশ্ন নেই।এই আইনের মাধ্যমে কৃষকরা সমস্ত আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা পাবেন, তাদের এমএসপি বা জমি নিয়ে কোন দুশ্চিন্তা করতে হবে না। মোদী বলেন, তারা ৩৫ লক্ষ কৃষককে টাকা দিয়েছেন। স্বামীনাথন কমিটির রিপোর্ট আট বছর ধরে ধামাচাপা পড়ে ছিল সেটি বের করে আনা হয়েছে। কৃষকদের উন্নতির স্বার্থেই।
আজ আবারও তিনি বিরোধীদের আক্রমণ করে বলেন নিজেদের জমি হারানোর ভয়ে তারা কৃষকদের উস্কাচ্ছে ,ভয় দেখাচ্ছে। মোদী বলেন রাতারাতি এই কৃষি আইন আনা হয়নি, বিভিন্ন সংগঠন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার পর তা আনা হয়েছে। এতে কৃষকদের স্বপ্নপূরণ হবে।